কক্সবাজারে মিয়ানমারের দুই শতাধিক সিমকার্ডসহ ফের এক রোহিঙ্গা যুবককে আটক করেছে পুলিশ। তার নাম মো. করিম (৩০)। বুধবার সন্ধ্যায় উখিয়ার কুতুপালং মার্কেটের সামনে থেকে মিয়ানমারের এমপিটি মোবাইল অপারেটরের ২৩০টি সিমকার্ডসহ তাকে আটক করে উখিয়া থানা পুলিশ। এর আগে গত ১৭ সেপ্টেম্বর মিয়ানমারের ২২২টি সিমসহ টেকনাফ স্থলবন্দর থেকে তিন রোহিঙ্গাকে আটক করেছিল পুলিশ।
পুলিশ জানায় আটক মো. করিম (৩০) উখিয়ায় বালুখালী রোহিঙ্গা শিবিরের ১ নম্বর ক্যাম্পের এ ব্লকের নুরুল আলমের ছেলে। বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলার পর বৃহস্পতিবার দুপুরে তাকে কক্সবাজার জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
তারা আরও জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উখিয়া থানার একটি দল অভিযান চালিয়ে ক্যাম্পে বিক্রি করতে আসা ২৩০টি মিয়ানমারের সিমসহ করিমকে আটক করে। এসব সিমকার্ড রোহিঙ্গাদের ব্যবহারের জন্য মিয়ানমার থেকে সুকৌশলে আনা হয়েছিল।
স্থানীয় সূত্র জানায়, কক্সবাজারের টেকনাফ ও উখিয়ায় আশ্রিত রোহিঙ্গারা অবৈধভাবে দেশীয় মোবাইল সিম ব্যবহার করছিল। সম্প্রতি রোহিঙ্গারা খুন, নির্যাতন ও মাদক ব্যবসায় জড়িয়ে পড়াসহ প্রত্যাবাসনে রাজি না হওয়া এবং মহাসমাবেশ করায় দেশব্যাপী বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। এরপরই আশ্রয় শিবিরগুলোতে প্রশাসনের কঠোর নজরদারি বাড়ানোর পাশাপাশি ওই এলাকায় মোবাইল ফোনের থ্রি-জি ও ফোর-জি ইন্টারনেট ও নেটওয়ার্ক সীমিত রাখার ঘোষণা দেয় সরকার। ফলে গত একমাস যাবৎ বাংলাদেশি মোবাইল অপারেটরের দুর্বল নেটওয়ার্ক দিয়ে নিজেদের মধ্যে যোগাযোগে ব্যর্থ হচ্ছিলেন রোহিঙ্গারা। এ কারণে তারা মিয়ানমারের সিম ব্যবহারে ঝুঁকছেন। সীমান্তবর্তী উপজেলা হওয়ায় উখিয়া-টেকনাফে মিয়ানমারের বিভিন্ন মোবাইল অপারেটরের নেটওয়ার্ক মিলছে বেশ ভালোভাবেই। ফলে উখিয়া-টেকনাফের ৩২টি আশ্রয় শিবিরের রোহিঙ্গারা কৌশলে মিয়ানমার থেকে সিমকার্ড এনে ব্যবহার করছেন।
উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল মনসুর বলেন, মিয়ানমার থেকে সিমকার্ড নিয়ে আসা এক রোহিঙ্গাকে আটক করা হয়েছে। তাকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তার বিরুদ্ধে ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ২৫-(২) ধারায় উখিয়া থানায় মামলা দায়েরের পর বৃহস্পতিবার দুপুর ২টার দিকে কক্সবাজার জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯:৩৯:২৯ ১১৮ বার পঠিত