আগেই নিশ্চিত হয়েছিল কোন চার দল খেলবে প্লেঅফ, তবু অপেক্ষা ছিলো শেষপর্যন্ত পয়েন্ট টেবিলের অবস্থা দেখার। নিজেদের শেষ ম্যাচে ত্রিনবাগো নাইট রাইডার্স জিতে গেলে রদবদল আসতে পারতো পয়েন্ট টেবিলে। তা হয়নি। জয়ের ধারা অব্যাহত রেখেছে গায়ানা অ্যামাজন ওয়ারিয়র্স।
আর এতে লাভবান হয়েছে সাকিব আল হাসানের বার্বাডোজ ট্রাইডেন্টস। ত্রিনবাগোর আগেই নিজেদের ১০ ম্যাচ শেষ করে ফেলেছিল বার্বাডোজ। পাঁচ জয় ও এক পরিত্যক্ত ম্যাচে ১১ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে ছিল তারা। ত্রিনবাগো নিজেদের শেষ ম্যাচ জিতলে ১২ পয়েন্ট নিয়ে উঠে যেত দুই নম্বরে, বার্বাডোজ নেমে যেত তিনে।
শনিবার ভোরে গায়ানার কাছে ত্রিনবাগো হেরে যাওয়ায় হাসি ফুটেছে সাকিবের বার্বাডোজের মুখে। কারণ ফাইনালে খেলার টিকিট পেতে এখন তাদের সামনে রয়েছে দুইটি সুযোগ। মূলত প্লেঅফের নিয়মের কারণেই দুইটি সুযোগ পাচ্ছে শীর্ষস্থানে থাকা গায়ানা এবং দুইয়ে থাকা বার্বাডোজ।
এবারের সিপিএলের প্লেঅফ নিশ্চিত করা চার দল হলো যথাক্রমে গায়ানা অ্যামাজন ওয়ারিয়র্স, বার্বাডোজ ট্রাইডেন্টস, ত্রিনবাগো নাইট রাইডার্স এবং সেন্ট কিটস এন্ড নেভিস প্যাট্রিয়টস।
ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে প্রথম কোয়ালিফায়ারে লড়বে টেবিলের শীর্ষ দুই দল গায়ানা এবং বার্বাডোজ। এই ম্যাচের জয়ী দল সরাসরি চলে যাবে ফাইনালে, তবে বিদায় নেবে না পরাজিত দল। অন্যদিকে এলিমিনেটর ম্যাচে মুখোমুখি হবে ত্রিনবাগো ও সেন্ট কিটস। বাদ পড়বে এই ম্যাচের পরাজিত দল।
দ্বিতীয় ফাইনালিস্ট নির্ধারণের জন্য এলিমিনেটর ম্যাচের জয়ী দলকে আবার খেলতে হবে প্রথম কোয়ালিফায়ার ম্যাচে পরাজিত দলের বিপক্ষে। অর্থাৎ সাকিবের বার্বাডোজ যদি নিজেদের প্রথম কোয়ালিফায়ারে গায়ানার কাছে হেরেও যায়, তবু তাদের সামনে সুযোগ থাকবে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার খেলে ফাইনাল ম্যাচ নিশ্চিত করার।
সিপিএল প্লেঅফের সূচি
এলিমিনেটর - সেন্ট কিটস বনাম ত্রিনবাগো (৬ অক্টোবর, রাত ৯.০০)
প্রথম কোয়ালিফায়ার - গায়ানা বনাম বার্বাডোজ (৬ অক্টোবর, দিবাগত রাত ১.৩০)
দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার - ৯ অক্টোবর, ভোর ৫.০০
ফাইনাল - ১৩ অক্টোবর রাত ৩.০০
বাংলাদেশ সময়: ১৬:৪২:১০ ১৯৭ বার পঠিত