দেশেই অত্যাধুনিক মানের ব্লাড ব্যাংক সেন্টার স্থাপন করা হবে - স্বাস্থ্যমন্ত্রী

প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারী » দেশেই অত্যাধুনিক মানের ব্লাড ব্যাংক সেন্টার স্থাপন করা হবে - স্বাস্থ্যমন্ত্রী
শনিবার, ২ নভেম্বর ২০১৯



---

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, দেশে খুব শীঘ্রই উন্নত ও অত্যাধুনিক মানের সরকারি ব্লাডব্যাংক সেন্টার স্থাপন করা হবে।
আজ শনিবার সকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে জাতীয় স্বেচ্ছায় রক্তদান ও মরোনোত্তর চক্ষুদান দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি অনুষ্ঠানে উদ্বোধক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ কর্তৃক আয়োজিত ও সন্ধানী পরিষদের সহোযোগিতায় এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
‘রক্তের কোন জাত নাই, দৃষ্টিতে মৃত্যু নাই’- এই শ্লোগানকে সামনে রেখে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব আসাদুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে রেডক্রিসেন্ট সোসাইটির ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক হাবিবে মিল্লাত এমপি, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ)-এর উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কণক কান্তি বড়ুয়া,স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবুল কালাম আজাদ, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সিরাজুল ইসলামসহ অন্যান্য গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘দেশে প্রতিদিনই নানা জায়গায় নানা দুর্ঘটনায় জরুরি রক্তের প্রয়োজন হয়। সময়মত রক্তের অভাবে অনেক মানুষ অকালে মৃত্যুবরণ করেন। এক্ষেত্রে সন্ধানী অনেক কাজ করছে। তবে সরকারিভাবেও এবিষয়টি গুরুত্বসহ বিবেচনা না করার কোন উপায় নেই। কাজেই খুব দ্রুতই দেশে একটি অত্যাধুনিক ও উন্নতমানের ব্লাডব্যাংক সেন্টার স্থাপন করা হবে।’
তিনি মরণোত্তর চক্ষুদানের গুরুত্ব তুলে ধরে আরও বলেন, ‘বিশ্বে দৃষ্টি প্রতিবন্ধী ব্যক্তির সংখ্যা প্রায় ২৯ কোটি। এক পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বাংলাদেশে বর্তমানে অন্ধ মানুষের সংখ্যা প্রায় ১৪ লাখ। এদের মধ্যে শুধু কর্ণিয়াজনিত অন্ধত্ববরণ করছেন প্রায় ৫ লাখ মানুষ। প্রতি বছর দেশের ৪০ হাজার মানুষ অন্ধ হচ্ছেন। একজন মানুষের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গপ্রত্যঙ্গগুলোর মধ্যে চোখ সবচেয়ে বেশি জরুরি একটি সম্পদ। মানুষ যখন মারা যায় তখন চোখের মত এত গুরুত্বপূর্ণ একটি অঙ্গ যাতে নষ্ট না হয়, আরেকজন মানুষের দৃষ্টি ফিরে পায় একারনে সবাইকে মরণোত্তর চক্ষুদানে এগিয়ে আসতে হবে।
উল্লেখ্য,জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু প্রথম ১৯৭২ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে রক্ত পরিসঞ্চালন বিভাগ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। এরপর তিনি ১৯৭৫ সালে অন্ধত্ব সমস্যা সমাধানে ‘অন্ধত্ব মোচন অর্ডিন্যান্স’ জারি করেন। এরপর ১৯৯৬ সালে প্রথম জাতীয় স্বেচ্ছায় রক্তদান ও মরণোত্তর চক্ষুদান দিবস জাতীয় দিবস হিসেবে পালন করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে প্রণীত হয়েছে- ‘মানব দেহে অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সংযোজন আইন,২০১৯’।

বাংলাদেশ সময়: ২১:৪০:০৬   ২২২ বার পঠিত  




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

ছবি গ্যালারী’র আরও খবর


সিলেটের সঙ্গে সারাদেশের রেল যোগাযোগ বন্ধ
আজকের রাশিফল
আল কোরআন ও আল হাদিস
গুজব উপেক্ষা করে জনগণ ভ্যাকসিন নিচ্ছে
অর্পিত সম্পত্তি বিষয়ক চিহ্নিত সমস্যাগুলো যথাযথ সংশোধন করা হবে - ভূমি সচিব
৬টি সেক্টরকে শিশুশ্রমমুক্ত ঘোষণা করলো সরকার
ফসল উৎপাদন বাড়াতে অঞ্চল ভিত্তিক ‘জোন ম্যাপ’ প্রণয়নের ওপর গুরুত্বারোপ প্রধানমন্ত্রীর
দেশের সিটি কর্পোরেশন ও পৌরসভাগুলোতে জনস্বাস্থ্য নিয়ে কাজ করতে চায় যুক্তরাষ্ট্র - এলজিআরডি মন্ত্রী
হঠাৎ অজানা কারণেই বেড়ে গেলো পেঁয়াজের দাম
স্পীকারের সাথে বাংলাদেশে নিযুক্ত সুইডেনের রাষ্ট্রদূত অ্যালেজান্ড্রা বের্গ ভন লিনডে-র সৌজন্য সাক্ষাৎ

আর্কাইভ