ঢাকা, ০৪ ডিসেম্বর ২০১৯নিউজটুনারায়ণগঞ্জ: বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এমপি বলেছেন, পিছিয়ে পড়া বঞ্চিত জনগোষ্ঠীকে উন্নয়নের মূল স্রোতে সম্পৃক্ত করতে হবে- প্রয়োজন তাদের জন্য সুযোগ তৈরি করার পাশাপাশি তাদেরকে সামর্থ্যবান হিসেবে গড়ে তোলা। ফলশ্রুতিতে অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নের মাধ্যমে অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধি অর্জিত হবে।
তিনি আজ রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নভোথিয়েটারে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ও জেনারেল ইকোনমিক ডিভিশনের উদ্যোগে আয়োজিত ‘বাংলাদেশ সোশাল সিকিউরিটি কনফারেন্স আন্ড নলেজ ফেয়ার ২০১৯’ এ এসব কথা বলেন।
যুগোপযোগী এমন একটি অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য স্পীকার আয়োজকবৃন্দকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, এমন সৃজনশীল আয়োজন নিঃসন্দেহে প্রশংসার দাবি রাখে। এ ধরনের কনফারেন্স অংশগ্রহণকারীদের পারস্পরিক জ্ঞান ও মূল্যবান ধারণা বিনিময়ের মাধ্যমে ‘জাতীয় সামাজিক নিরাপত্তা কৌশল (এনএসএসএস)’ ও এর কর্ম পরিকল্পনাকে সমৃদ্ধ করবে।
স্পীকার বলেন, দরিদ্র জনগণকে এগিয়ে নিতে পারলে টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত হবে। দরিদ্রতা নির্মূলের পাশাপাশি অসমতা দূর করে সমতার ভিত্তিতে সমাজ গড়ে তুলতে পারলেই টেকসই উন্নয়ন দৃশ্যমান হবে। দরিদ্র জনগোষ্ঠীর আয় তুলনামূলকভাবে দ্রুতগতিতে বাড়ানোর পদক্ষেপ নিয়ে বংশানুক্রমিক দারিদ্র্য চক্র ভাঙতে হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সামাজিক নিরাপত্তা খাতে ব্যাপক বিনিয়োগের মাধ্যমে দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে এগিয়ে নিতে কাজ করছে সরকার। সমাজের প্রান্তিক, অবহেলিত এবং পিছিয়ে পড়া মানুষদের এগিয়ে নিতে একাধিক সুরক্ষা প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে সরকার। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পর শেখ হাসিনাই প্রথম গরিব, দুঃস্থ, বিধবা, বয়স্ক মানুষদের নিয়ে বিশদ চিন্তা-ভাবনা করে দুর্দশা লাঘবে বিভিন্ন ভাতা, অনুদান ও প্রণোদনার ব্যবস্থা করেছেন।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য (সিনিয়র সচিব) ড. শামসুল আলম কীনোট প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব (সমন্বয় ও সংস্কার) শেখ মুজিবুর রহমান সূচনা বক্তব্য রাখেন এবং মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (সমন্বয়) ড. শাহনাজ আরেফীন ভোট অব থ্যাংক্স প্রদান করেন। অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে আইএলও বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর, ইউনিসেফ বাংলাদেশের কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ, ডিএফআইডি বাংলাদেশের কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ, ইউএনডিপি বাংলাদেশের আবাসিক প্রতিনিধি প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধি, সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দসহ গণমাধ্যমকর্মীগণ উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫:৪৭:১০ ৩৬১ বার পঠিত