কক্সবাজার জেলার রামু সেনানিবাসে ১০পদাতিক ডিভিশনের নবগঠিত ৪টি ইউনিটের আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম আজ শুরু হয়েছে।
রামু সেনানিবাসে আজ মঙ্গলবার পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে ৪টি ইউনিটের যাত্রা শুরু হয়।
আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আজ এ খবর জানানো হয়।
পতাকা উত্তোলন অনুষ্ঠানে সেনাবাহিনীর চীফ অব জেনারেল স্টাফ (সিজিএস) লেঃ জেনারেল মো. নাজিম উদ্দীন প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
১০ পদাতিক ডিভিশনের অধীনস্থ ৬৩ ইস্ট বেংগল, ৩৯ এসটি ব্যাটালিয়ন, ৫৫ ফিল্ড এ্যা¤¦ুলে›স এবং ১৫৩ ফিল্ড ওয়ার্কশপ কোম্পানি, ইএমই এর পতাকা উত্তোলন করেন সেনাবাহিনীর চীফ অব জেনারেল স্টাফসহ উচ্চপদস্থ সামরিক কর্মকর্তাবৃন্দ।
সিজিএস অনুষ্ঠানস্থলে এসে পৌঁছালে ১০ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল মোহাম্মদ মাকসুদুর রহমান তাকে অভ্যর্থনা জানান।
এ সময় প্যারেড কমান্ডার মেজর মোহাম্মদ ইশতিয়াক জামিরের নেতৃত্বে সেনাবাহিনীর একটি চৌকস দল কুচকাওয়াজ প্রদর্শন এবং সিজিএস’কে সালাম প্রদান করে।
যথাযথ প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সুশৃংখল, দক্ষ ও যোগ্য হিসেবে গড়ে উঠার নির্দেশনা জানিয়ে চীফ অব জেনারেল স্টাফ বলেন, পেশাদারিত্বের ইপ্সিত মান অর্জনের মাধ্যমে অভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক যে কোন হুমকি মোকাবেলায় সদা প্রস্তুত থাকতে হবে।
তিনি মিয়ানমার থেকে বিতাড়িত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠির পুনর্বাসন, চিকিৎসা সেবা ও ত্রাণ বিতরণসহ অন্যান্য সহায়তায় ১০ পদাতিক ডিভিশনের অসামান্য ভূমিকার ভূয়সী প্রশংসা করেন।
সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা ঊর্ধ্বতন নেতৃত্বের প্রতি আস্থা, পারস্পারিক বিশ¡াস, সহমর্মিতা, ভ্রাতৃত্ববোধ এবং সর্বোপরি শৃংখলার মান বজায় রেখে নিজ নিজ কর্তব্য পালন করে যাবেন বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
সিজিএস বলেন, ১০ পদাতিক ডিভিশনের আরো কিছু নবগঠিত ইউনিটের নবযাত্রার মাধ্যমে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর রুপকল্প ফোর্সেস গোল ২০৩০-এর বাস্তবায়নের পথে আরেকটি মাইলফলক উন্মোচিত হলো।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশের পর্যটন নগরী কক্সবাজার জেলার রামুতে তিন বছর আগে ১০ পদাতিক ডিভিশন গঠিত হয়। নবগঠিত ৪টি ইউনিটের পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে রামু সেনানিবাসকে পূর্ণাঙ্গ সেনানিবাস হিসেবে প্রতিষ্ঠায় আরেক ধাপ এগিয়ে গেল ।
বাংলাদেশ সময়: ১৮:৫১:৩৫ ৪০৩ বার পঠিত