জেলার ব্র্যান্ডিং সয়াবিন, পরিচর্যায় ব্যস্ত কৃষক-কৃষাণীরা। সয়াবিন গাছে ফুল আসবে তাই জমিনে আগাছা দূর করতে নিড়ানী দিচ্ছেন চাষিরা। বেশ কয়েকদিন যাবত জেলার সদর উপজেলা, রায়পুর, রামগঞ্জের কমলনগর ও রামগতির, বিভিন্ন এলাকার সয়াবিন চাষিরা ব্যস্ত সময় পার করছেন। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সয়াবিন গাছের পরিচর্যায় করছে। এসময় সয়াবিন গাছ পরিপক্ক হয়ে উঠেছে আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা করছেন স্থানীয় কৃষক-কৃষাণীরা। গাছে ফুল আসবে এজন্য গাছগুলো পরিচর্যা করে আগাছা মুক্ত রাখতে পারলে পোকা মাকড় থেকে রক্ষা পাবে। কীটনাশক ব্যবহার না করে পোকা মাকড় দূর করতে পারলে সয়াবিনের জন্য ভালো হয়। ভালো ফলনও পাওয়া যায়। কিছু দিনের মধ্যেই গাছে সয়াবিন ধরবে।
সদর উপজেলার নতুন তেওয়ারিগঞ্জ গ্রামের কৃষাণী রহিমা বেগম ‘বাসস’ কে জানায়, ১৫ হাজার টাকা ঋণ নিয়ে ৫ বিঘা জমিনে সয়াবিন চাষ করছি। এখন সয়াবিনের জমিতে আগাছা মুক্ত করতে পারলে ভালো ফলাফলের আশা করা যায়। এ পর্যন্ত দুই বার নিড়ানী দিয়েছি। অতিবৃষ্টি না হলে সয়াবিনের বাম্পার ফলনের আশা করছেন এ কৃষাণী।
লক্ষ্মীপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, জেলা সয়াবিন আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিলো ৫০ হাজার ৫ শত ৫ হেক্টর। কিন্তু ডিসেম্বরের ৯, ১০, ও ১১ এ তিনদিন বৃষ্টি হওয়ার কারণে মাটিতে রসের পরিমান বেড়ে যায়। ফলে কৃষক বীজ রোপণ করতে পারেনাই, তাই সয়াবিন আবাদের পরিমাণ লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে কম হয়। মোট আবাদ হয়েছে ৪১ হাজার ২৭০ হেক্টর। সদর উপজেলা ৫ হাজার ৯৫০ হেক্টর, রায়পুর ৫ হাজার ৫৪০, রামগঞ্জ ৮০, কমলনগর ১৩ হাজার ২শ’, রামগতি ১৬ হাজার ৫শ’ হেক্টর জমিতে সয়াবিন আবাদ হয়েছে।
লক্ষ্মীপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোঃ বেল্লাল হোসেন খান জানান, সয়াবিন গাছে ফুল আসার সময় হয়েছে। কিছুদিনের মধ্যে সয়াবিন ধরা শুরু হবে। সয়াবিন গাছ পরিচর্যার জন্য চাষিদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আশা করি আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে প্রতি হেক্টরে ২ টন করে সয়াবিন ঘরে উঠাতে পারবে কৃষক।
বাংলাদেশ সময়: ১২:২৪:৫৯ ৯৭৯ বার পঠিত