মন্ত্রিসভা যুদ্ধকালীন বা স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে সশস্ত্র বাহিনীর ভূমিকা কি হবে তা নির্ধারণ করে আজ জাতীয় প্রতিরক্ষা নীতিমালা-২০১৮’র খসড়া অনুমোদন দিয়েছে।
সোমবার রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কার্যালয়ে তাঁর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে এই নীতিমালার অনুমোদন দেওয়া হয়।
‘দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা এবং জনগণের কল্যাণ নিশ্চিত করার লক্ষে একটি গণমুখী আধুনিক ও পেশাগতভাবে উপযুক্ত সশস্ত্র বাহিনী গড়ে তোলার দৃষ্টিভঙ্গি অনুযায়ী এই নীতিমালা প্রস্তুত করা হয়েছে।’
মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. শফিউল আলম বাংলাদেশ সচিবালয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ১৯৭৪ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান গৃহিত নীতিমালার আলোকে বৃহত্তর আকারে এটা করা হয়েছে।
আলম বলেন, এই নীতিমালায় জাতীয় লক্ষ্য, উদ্দেশ্য, জাতীয় স্বার্থ সংজ্ঞায়িত করা, দেশটির মূল প্রতিরক্ষার নীতি, বাহিনীগুলোর রূপরেখা এবং যুদ্ধের সময় ও এর বাইরের সময়ে বাহিনীগুলোর করনীয় বিষয়ে উল্লেখ রয়েছে।
নীতিমালায় জাতীয় উচ্চ পর্যায়ের প্রতিরক্ষা কর্তৃপক্ষ যেমন প্রধানমন্ত্রীকে প্রধান করে নিরাপত্তা বিষয়ক জাতীয় কমিটি এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রীকে প্রধান করে কেবিনেট কমিটি গঠনের সুপারিশ করা হয়েছে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, নীতিমালায় সামরিক ও বেসামরিক সম্পর্ক এবং সামরিক, নাগরিক ও গণমাধ্যমের মধ্যে সম্পর্কের বিষয়েও সংজ্ঞা নির্ধারণ করেছে। তিনি বলেন, এই নীতিমালার আওতায় সব আধা-সামরিক ও অক্সিলারী বাহিনী যুদ্ধকালীন বা যে কোন দুর্যোগে সশস্ত্র বাহিনীর কমান্ডে পরিচালিত হবে।
মন্ত্রিপরিষদ আজ সার (ব্যবস্থাপনা) (সংশোধনী) আইন-২০১৮-এর খসড়াও অনুমোদন করেছে। এতে ভেজাল সার বাজারজাতকারীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয় উল্লেখ করা হয়েছে। নতুন আইনে ভেজাল সার বিক্রেতাদের দুই বছরের জেল বা ৫ লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে। যা বর্তমান সার আইন-২০০৬-এ ছয় মাসের জেল ও ৩০ হাজার টাকা জরিমানার বিধান রয়েছে। নতুন আইনে সার ব্যবসা ও বাজারজাতকরণের ক্ষেত্রে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে।
বর্তমান আইন অনুযায়ী কৃষি সচিবের নেতৃত্বে ১৭ সদস্যবিশিষ্ট ‘ন্যাশনাল ফার্টিলাইজার স্ট্যান্ডার্ডডাইজেশন কমিটি’ গঠন করা হবে। এই কমিটি সার ব্যবস্থাপনার বিষয়ে মনিটরিং করবে।
এ ছাড়া মন্ত্রিপরিষদ আজ বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ আইন-২০১৮ এবং বাংলাদেশ লাইভস্টক রিসার্চ ইনস্টিটিউট অ্যাক্ট-২০১৮ এর খসড়ারও অনুমোদন দিয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫:৫৪:৪১ ৩৫৮ বার পঠিত