জেলায় ২০১৭- ২০১৮ বছর পেঁয়াজ-রসুনের চাষাবাদ হয়েছে ১ হাজার ৬০০ হেক্টর এবং উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ১৪ হাজার ৭২৮ মে.টন। চাঁদপুর দেশের অন্যতম নদীবিধৌত কৃষি প্রধান অঞ্চল। মেঘনা, পদ্মা, মেঘনা ধনাগোদা ও ডাকাতিয়া নদী এ জেলা ওপর দিয়ে বয়ে যাওযায় রবি,আউস,আমন ও বোরোর মত কৃষি উৎপাদনে নদী অববাহিকায় ও জেলার চরাঞ্চলে ব্যাপক উৎপাদন হয়ে থাকে। পেয়াঁজ-রসুন স্বাস্থ্যসম্মত ও উপকারী।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর খামার বাড়ি চাঁদপুরের সূত্র মতে, চাঁদপুরের ৮ উপজেলায় এবার পেঁয়াজ-রসুনের চাষাবাদ হয়েছে ১ হাজার ৬ ০০ হেক্টর এবং উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১৪ হাজার ৭২৮ মে.টন। এর মধ্যে পেঁয়াজ চাষাবাদ হয়েছে ১ হাজার ২০ হেক্টর ও উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১০ হাজার ৩০২ মে.টন এবং রসুন চাষাবাদ হয়েছে ৫২০ হেক্টর এবং উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৪ হাজার ৪২৬ মে.টন।
চাঁদপুরে অনেক গুলো চর রয়েছে, এ চরাঞ্চল গুলোতে ব্যাপকহারে পেঁয়াজ- রসুন চাষ হয়ে থাকে। চরাঞ্চলগুলো হলো- মতলবের চরইলিয়ট, চর কাসিম, ষষ্ট খন্ড বোরোচর, চাঁদপুর সদরের, রাজরাজেস্বর, লগ্নিমারা, জাহাজমারা, বাঁশগাড়ি, চিড়ারচর, ফতেজংগপুর, হাইমচরের ঈশানবালা, চরগাজীপুর, মনিপুর, মধ্যচর,মাঝিরবাজার, সাহেব বাজার ও চরভৈরবির বাবুরচর।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর খামার বাড়ি চাঁদপুরের সূত্র জানা যায়, চাঁদপুর সদরে এবার পেঁয়াজ-রসুনের চাষাবাদ হয়েছে ২৬০ হেক্টর এবং উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ২ হাজার ৩৭৯ মে.টন।
মতলব উত্তরে চাষাবাদ হয়েছে ১১০ হেক্টর এবং উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৮৮৮ মে.টন। মতলব দক্ষিণে চাষাবাদ হয়েছে ১০৫ হেক্টর এবং উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৯২৫ মে.টন।
হাজীগঞ্জে চাষাবাদ হয়েছে ১০৫ হেক্টর এবং উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৯০৬ মে.টন। শাহরাস্তিতে চাষাবাদ হয়েছে ৫ হেক্টর এবং উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৫২ মে.টন।
কচুয়ায় চাষাবাদ হয়েছে ৩৫ হেক্টর এবং উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৩২৮ মে.টন। ফরিদগঞ্জে চাষাবাদ হয়েছে ২৫ হেক্টর এবং উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ২৪০ মে.টন। হাইমচরে চাষাবাদ হয়েছে ৯৫৫ হেক্টর এবং উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৮ হাজার ৮৫৬ মে.টন।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর খামার বাড়ি চাঁদপুরের উপ- পরিচালক কৃষিবিদ আলি আহমেদ জানান, চাঁদপুরে সবচেয়ে বেশি পেঁয়াজ-রসুন চাষাবাদ ও উৎপাদন হয়ে থাকে হাইমচরের চরাঞ্চলে, যা জেলার অর্ধেকেরও বেশি। চাঁদপুরের এসব চরগুলো দেশের অন্যতম নদীবিধৌত কৃষি প্রধান অঞ্চল। মেঘনা,পদ্মা, মেঘনা ধনাগোদা ও ডাকাতিয়া নদী এ জেলা ওপর দিয়ে বয়ে যাওযায় রবি,আউশ,আমন ও বোরোর মত নদী অববাহিকায় ও জেলার ১১ চরাঞ্চলে ব্যাপক হারে পেঁয়াজ-রসুন চাষাবাদ করে জেলায় উৎপাদনের বিপ্ল¬ব ঘটাতে পারে । আমরা আশা করি আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে।
বিশেষ করে চাঁদপুরের চরাঞ্চলে পেঁয়াজ- রসুনসহ শাক-সবজি ব্যাপকভাবে চরবাসীরা চাষাবাদ করে থাকে। নারীরাই এসব কৃষিপণ্য উৎপাদনে প্রধান ভূমিকা পালন করে থাকে ।
বাংলাদেশ সময়: ১৬:৫১:৪৯ ৩৪৮ বার পঠিত