মিয়ানমারের প্রেসিডেন্ট তিন চিয়াও কী কারণে পদত্যাগ করেছেন তা জানানো হয়নি। প্রেসিডেন্টের ফেসবুক পাতায় অবশ্য বলা হয়েছে- তিনি বিশ্রাম নিতে চান।
সাত দিনের মধ্যে নতুন প্রেসিডেন্ট নিযুক্ত না হওয়া পর্যন্ত দেশটির ভাইস প্রেসিডেন্ট সাবেক জেনারেল মিন্ট সোয়ে প্রেসিডেন্টের দায়িত্বে থাকবেন। খবর বিবিসি ও এএফপির।
বেশ কিছু দিন ধরে ৭১ বছর বয়সী তিন চিয়াও স্বাস্থ্যগত কিছু সমস্যায় ভুগছিলেন। সম্প্রতি বেশ কিছু অনুষ্ঠানে তাকে অংশ নিতে দেখা গেছে খুব দুর্বল অবস্থায়।
২০১৬ সালে প্রেসিডেন্ট হিসেবে ক্ষমতায় আসেন তিন চিয়াও। সেই অর্থে প্রেসিডেন্ট হিসেবে তার তেমন কোনো ক্ষমতা ছিল না। দীর্ঘ দিনের বিরোধী নেত্রী অং সান সু চিকে বলা হচ্ছে ‘ডি ফ্যাক্টো’ নেতা। তিন চিয়াও ছিলেন অং সান সু চির দীর্ঘ দিনের পুরনো বন্ধু ও উপদেষ্টা। তিনি সবসময় কথা খুব কম বলতেন। তবে তাকে সবসময় সু চির খুব নির্ভরযোগ্য একজন সহযোগী বলে মনে করা হয়। সেক্ষেত্রে তিন চিয়াওর পদত্যাগে সু চির ওপর বিরূপ প্রতিক্রিয়াও আসতে পারে।
অং সান সু চির দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি ২০১৫ সালের নভেম্বরে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়ী হয়। ওই নির্বাচনের মাধ্যমে মিয়ানমারে কয়েক দশক ধরে চলা সেনাশাসনের অবসান ঘটে। তবে সেটিকেও কাগজ-কলমে অবসান বলে মনে করা হয়।
জয়ী হওয়ার পর থেকেই নানা ধরনের সমস্যার মুখে পড়তে হয়েছে সু চিকে। বিশেষ করে রাখাইন প্রদেশে সেনা অভিযানের মুখে লাখ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে আসার পর ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েন অং সান সু চি ও তার দল।
রোহিঙ্গাদের ওপর মিয়ানমার সেনাবাহিনীর জাতিগত নির্মূল অভিযানের পর যখন বিশ্বব্যাপী সু চির বিচারের দাবি ওঠে, তখনও তিন চিয়াও নিঃশর্তভাবে সু চিকে সমর্থন করে গেছেন।
মিয়ানমারে ১৯৬২ সালের পর থেকে তিন চিয়াও হলেন একমাত্র গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট। তিন চিয়াওর বাবা একজন কবি ছিলেন। প্রেসিডেন্ট হওয়ার আগে সু চির দাতব্য ফাউন্ডেশন পরিচালনার দায়িত্ব ছিল তার কাঁধে।
বিশেষজ্ঞ রিচার্ড হর্শলি বলেন, সু চি পূর্ণ আস্থা রাখতে পারেন এমন কাউকেই পরবর্তী প্রেসিডেন্ট হিসেবে নিয়োগ দেয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫:১৬:০৩ ৩১৭ বার পঠিত