মিথ্যা প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে মোবাইল ফোনে ডেকে এনে ১০ শ্রেণীর এক ছাত্রীকে ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোর পূর্বক ৫ বন্ধু মিলে গনধর্ষণ করেছে।
এমন অভিযোগে পুলিশ লম্পট প্রেমিক মোমিনসহ তার ২ বন্ধুকে গ্রেপ্তার করেছে।
বৃহস্পতিবার (৪ জুন) রাতে বন্দর থানার চিতাশাল এলাকায় কাউন্সিলর দুলাল প্রধানের সহযোগিতায় পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করে।
এর আগে গত ৩ জুন (বুধবার) সন্ধ্যায় বন্দর থানার ২৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর দুলাল প্রধানের ফাঁকা বাড়িতে এ গনধর্ষনের ঘটনাটি ঘটে।
এ ঘটনায় ধর্ষিতা স্কুল ছাত্রী বাদী হয়ে লম্পট প্রেমিক মোমিনসহ তার ২ বন্ধুর নাম উল্লেখ্য করে এবং বাকি ২ জনকে অজ্ঞাত আসামী করে বন্দর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং- ২(৬)২০।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলো-বন্দর থানার ২৩নং ওয়ার্ডের চিতাশাল এরাকার মনির মিয়ার ছেলে লম্পট মোমিন (২১) একই এলাকার জাকির হাসান মিয়ার ছেলে রনী হাসান (২৪) ও একই এলাকার মৃত বশির মিয়ার ছেলে আমিন (২২)।
মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা বন্দর ফাঁড়ী ইনর্চাজ তসলিম উদ্দিন ৫ দিনের রিমান্ডের আবেদন জানিয়ে ৫জুন (শুক্রবার) সকালে তাদের আদালতে প্রেরণ করেছে।
জানা গেছে, শহরের ঐতিহ্যবাহী গনবিদ্যা নিকেতনের ১০ শ্রেনীর এক ছাত্রীর সাথে বন্দর চিতাশাল এলাকার মনির মিয়ার ছেলে লম্পট মোমিন প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। এর ধারাবাহিকতায় গত ৩ জুন বুধবার সন্ধ্যায় লম্পট মোমিন তার প্রেমিকা স্কুলছাত্রীকে দেখা করার জন্য মোবাইল ফোনে ডেকে আনে। পরে লম্পট প্রেমিক মোমিনসহ তার দুই বন্ধু ওই দিন রাতে উল্লেখিত স্কুলছাত্রীকে বন্দর থানার ২৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর দুলাল প্রধানের ফাঁকা বাড়িতে তালা ভেঙ্গে ইচ্ছার বিরুদ্ধে পালাক্রমে উল্লেখিত ধৃত ৩ নরপশুসহ ৫ জন গনধর্ষন করে ওই রাতে স্কুলছাত্রীকে ছেড়ে দেয়।
পরে ধর্ষিতা তার পরিবারের সদস্যদের জানালে বৃহস্পতিবার রাতে বন্দর থানায় গিয়ে অভিযুক্তদের আসামী করে একটি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন।
বন্দর থানার অফিসার ইনর্চাজ মো: রফিকুল ইসলাম এর সত্যতা স্বীকার করে গনমাধ্যমকে জানান, ধর্ষনকারী ৫ জনের মধ্যে মূলহোতা লম্পট প্রেমিক মোমিনসহ তার ২ বন্ধুকে ইতিমধ্যে আটক করা হয়েছে। মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা আটকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৫দিনের রিমান্ডের আবেদন জানিয়ে আদালতে প্রেরণ করেছে। এবং বাকি দুই জনকে আটকের জন্য বিভিন্ন স্থানে অভিযান অব্যহত রাখা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২১:৩৪:৩২ ৭৫ বার পঠিত
