ফরিদপুর সদর উপজেলার ১১ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ মনোনীত ছয় প্রার্থী জয়ী হয়েছেন। এছাড়া দুটিতে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী এবং দুটিতে বিএনপি প্রার্থী বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। একটি ইউনিয়নে এখন পর্যন্ত ফলাফল ঘোষণা করা হয়নি।
ফরিদপুর সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা মো. হাবিবুর রহমান বৃহস্পতিবার রাতে এ ফলাফল ঘোষণা করেন।
ঘোষিত ফলাফলে অম্বিকাপুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত আবু সাইদ বারী চৌধুরী ৩ হাজার ৯৬৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির জয়নাল আবেদীন চৌধুরী পেয়েছেন ২ হাজার ৭৫৮ ভোট।
কানাইপুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বেলায়েত ফকির পেয়েছেন ১১ হাজার ২৩১ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী আহিদ মোল্লা পেয়েছেন ৮ হাজার ৮১৪ ভোট।
ঈশান গোপালপুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত শহিদুল ইসলাম মজনু ৭ হাজার ৫৫২ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি প্রার্থী নুরুজ্জামান চৌধুরী পংকজ ৪ হাজার ৮৮৬ ভোট পেয়েছেন।
গেরদা ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের জাহিদুর রহমান ৭ হাজার ৮০৬ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির রেজাউল করিম পেয়েছেন ৬ হাজার ২৩৩ ভোট।
আলিয়াবাদ ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের ওমর ফারুক ডাবলু ৪ হাজার ৫৩৭ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির সামসুল আলম বাবলু পেয়েছেন ২ হাজার ২৯২ ভোট।
কৈজুরী ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের ইফতেখার আহম্মেদ ইকু পেয়েছেন ১০ হাজার ২৭৪ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির নাজিম উদ্দিন ৫ হাজার ৭৬ ভোট পেয়েছেন।
ডিক্রীরচর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী যুবলীগ নেতা মেহেদী হাসান মিন্টু জয়ী হয়েছেন। আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীকে হারিয়ে তিনি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি ভোট পেয়েছেন ৪ হাজার ৬১২। তার নিকটতম আওয়ামী লীগের সাদেকুজ্জামান মিলন পাল পেয়েছেন ৩ হাজার ৩৩৮ ভোট।
মাচ্চর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী জাহিদ মুন্সী পেয়েছেন ৬ হাজার ৮৫৯ ভোট। তার নিকটতম আওয়ামী লীগ মনোনীত সরোয়ার হোসেন সন্টু ৬ হাজার ৭৬৮ ভোট পেয়েছেন।
নর্থচ্যানেল ইউনিয়নে বিএনপির ধানের শীষ প্রতীকে মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাক ৬ হাজার ৪০৬ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছে। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের মোফাজ্জেল হোসেন পেয়েছেন ৫ হাজার ৫২১ ভোট।
চরমাধবদিয়া ইউনিয়নে বিএনপি প্রার্থী মির্জা সাইফুল ইসলাম আজম ৫ হাজার ৪০২ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হাফিজুর রহমান পেয়েছেন ৫ হাজার ৩৬৮ ভোট।
নির্বাচন কর্মকর্তা মো. হাবিবুর রহমান বলেন, কিষ্ণনগর ইউনিয়নের একটি সেন্টারে ভোট গণনা নিয়ে প্রার্থীদের আপত্তি থাকায় ওই ইউনিয়নের ফলাফল ঘোষণা করা হয়নি।
বাংলাদেশ সময়: ১৬:৩৯:৩৭ ৩০৪ বার পঠিত