বন্যাকবলিত এলাকায় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে প্রয়োজনীয় সকল ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।
একই সাথে বন্যাকবলিত এলাকায় স্বাভাবিক মৎস্য ও প্রাণিজ উৎপাদন অব্যাহত রাখতে সুনির্দিষ্ট কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করে তা বাস্তবায়নে কর্মকৌশল নির্ধারণেরও তাগিদ দিয়েছেন তিনি।
সম্প্রতি মৎস্য অধিদপ্তর ও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের এসকল নির্দেশ দিয়েছেন মন্ত্রী।
মন্ত্রীর নির্দেশনার আলোকে সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তরে নির্দেশনা পত্র পাঠিয়েছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়।
মৎস্য অধিদপ্তরে পাঠানো পত্রে বন্যা পরবর্তী মৎস্য খাতের ক্ষয়-ক্ষতি নিরূপণ করে ক্ষতিগ্রস্ত খামারিদের কারিগরী সহায়তা প্রদানে মাঠ পর্যায়ের মৎস্য কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
একই পত্রে বন্যা পরবর্তী মৎস্য চাষে পোনার চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে সরকারি-বেসরকারি মৎস্য বীজ উৎপাদন খামারিদের অতিরিক্ত পোনা উৎপাদন ও মজুদ করে পরবর্তীতে ব্যবহারের ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বলা হয়েছে।
এ আলোকে সরকারি-বেসরকারি খামারে পোনা মজুদের ব্যবস্থা গ্রহণ এবং চাষকৃত মাছের সুরক্ষায় করণীয় সম্পর্কে মৎস্য চাষি, উদ্যোক্তা ও খামারিদের পরামর্শ ও কারিগরি সহায়তা প্রদানের জন্য মৎস্য অধিদপ্তর মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
অপরদিকে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরে পাঠানো পত্রে বন্যাকবলিত এলাকায় গবাদিপশু-পাখির রোগ-ব্যাধি প্রতিরোধ ও প্রতিকার কার্যক্রম জোরদার এবং বন্যা পীড়িতদের পরামর্শ দান ও কারিগরী সহায়তা প্রদানের জন্য মাঠ পর্যায়ের প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
একই পত্রে বন্যা পরবর্তী পুনর্বাসনের জন্য সম্ভাব্য পদক্ষেপসমূহের চেকলিস্ট মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ ও সে অনুযায়ী কার্যক্রম গ্রহণের জন্য বলা হয়েছে।
মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনার আলোকে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর কন্ট্রোল রুম চালু করে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত প্রাণিসম্পদ খাতের সর্বশেষ চিত্র এবং বন্যাকবলিত এলাকায় গৃহীত পদক্ষেপের তথ্যাদি প্রতিদিন মন্ত্রণালয়ে পাঠাচ্ছে।
কন্ট্রোল রুম থেকে ২৯ জুলাই প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী, বন্যাকবলিত এলাকায় মোট ১২ লাখ ১৯ হাজার ৬২২টি গবাদিপশু ও ৪৯ লাখ ৬০ হাজার ৪২১টি হাঁস-মুরগী উঁচু জায়গায় স্থানাস্তর করা হয়েছে।
২৪৯টি ভেটেরিনারি মেডিকেল টিম গঠন করে ৮১ হাজার ১৬৮টি গবাদিপশু ও ৪ লাখ ১৩ হাজার ৬৩৪টি হাঁস-মুরগীকে চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হয়েছে। বিতরণ করা হয়েছে ১ হাজার ৭১৩ টন গো-খাদ্য।
এছাড়াও বন্যকবলিত এলাকায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের চলমান ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রমে অন্তর্ভুক্ত পশু খাদ্য খাতে বাজেট বৃদ্ধির অনুরোধ জানিয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ে পত্র দিয়েছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৭:০৯:৪৯ ৯৪ বার পঠিত