সুন্দরবনে জাহাজডুবির মূল কারণ কর্তৃপক্ষের অবহেলা, অব্যবস্থাপনা এবং জবাবদিহিতার অভাব। সুন্দরবনের জাহাজডুবি ও আগুন লাগা রোধে সুন্দরবনের ভেতর দিয়ে সকল ধরনের ভারী ও বাণিজ্যিক যান চলাচল নিষিদ্ধসহ সমাজের নানা শ্রেণি-পেশার প্রতিনিধিদের নিয়ে একটি জাতীয় সুন্দরবন সুরক্ষা সেল গঠন করতে হবে।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর কলাবাগান পবা কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত ‘রেল দুর্ঘটনা ও সুন্দরবনে জাহাজডুবির কারণ ও করণীয়’ শীর্ষক আলোচনা সভা থেকে এসব কথা বলা হয়।
পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন (পবা), বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ রিসোর্স সেন্টার ফর ইনডেজিনাস নলেজ (বারসিক) ও ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ (ডব্লিউবিবি) ট্রাস্ট যৌথভাবে এই সভার আয়োজন করেন।
সুন্দরবনে জাহাজডুবি বিষয়ে বারসিকের সমন্বয়কারী গবেষক পাভেল পার্থ উপস্থাপনপত্র উত্থাপন করেন।
অনুষ্ঠানে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, জাহাজডুবির ফলে সুন্দরবনের প্রতিবেশগত, প্রাণবৈচিত্র্যগত ও সামাজিক প্রভাবগত সমীক্ষা করতে হবে এবং এর মাধ্যমে পরবর্তী সংরক্ষণ ও ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম হাতে নিতে হবে। সুন্দরবনের ভেতর দিয়ে কয়লা, সিমেন্ট, তেলসহ সকল রাসায়নিক বোঝাই সব ধরনের ভারী বাণিজ্যিক যান চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ করতে হবে।
এ সময় সুন্দরবনে জাহাজডুবির নিরপেক্ষ তদন্ত ও বিচার দাবি করেন বক্তারা।
পবার চেয়ারম্যান আবু নাসের খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন পবার সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী মো. আবদুস সোবহান, ডব্লিউবিবি ট্রাস্টের পরিচালক গাউস পিয়ারী, স্ট্যামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান ড. কামরুজ্জামান, নাসফের সাধারণ সম্পাদক মো. তৈয়ব আলী, বাংলাদেশ রেলের সাবেক কর্মকর্তা ওমর ফারুক, বারসিকের সমন্বয়কারী সৈয়দ আলী বিশ্বাস, পবার সম্পাদক ফেরদৌস আমহেদ উজ্জ্বল, সহসম্পাদক ব্যারিস্টার নিশাত মাহমুদ প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৫:৫২:২১ ২৭৫ বার পঠিত