ফরিদপুরে হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ভোট, পরে স্থগিত

প্রথম পাতা » আইন আদালত » ফরিদপুরে হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ভোট, পরে স্থগিত
শুক্রবার, ২০ এপ্রিল ২০১৮



---হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ফরিদপুরে শ্রমিক ইউনিয়নের ভোট গ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। তবে ভোট গণনার মাঝপথে তা স্থগিত ঘোষণা করেন নির্বাচন পরিচালনাকারী কর্মকর্তা।

আজ শুক্রবার সকাল আটটা থেকে শহরের সারদা সুন্দরী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয় ফরিদপুর মোটরওয়ার্কার্স ইউনিয়নের দ্বিবার্ষিক নির্বাচনে ভোট গ্রহণ। দুপুরে এক ঘণ্টা বিরতি দিয়ে বিকেল ৫টা পর্যন্ত ভোট নেয়া হয়। এরপর শুরু হয় ভোট গণনা।

নির্বাচন কর্মকর্তা মাহবুবুল ইসলাম দাবি করেন, তিনি হাইকোর্টের কোনো আদেশ বিকাল পর্যন্ত পাননি। আর জেলা প্রশাসনের আদেশে তার পক্ষে নির্বাচন বন্ধ করা সম্ভব নয়, কেননা জেলা প্রশাসন পক্ষপাতদুষ্ট হতে পারে।

এবারের নির্বাচনে মোট ভোটার ছয় হাজার ৬৪৩ জন। গত ২২ মার্চ এ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়।

এই শ্রমিক ইউনিয়নের ভোটার তালিকাসংক্রান্ত একটি অভিযোগ নিয়ে মুবিন ইসলাম নামের এক ব্যক্তি হাইকোর্টে রিট করেন। এতে শ্রম মন্ত্রণালয়ের সচিব, মোটরওয়ার্কার্স ইউনিয়নের সভাপতি ও সম্পাদক, জেলা প্রশাসক, নির্বাচন কর্মকর্তাসহ মোট নয়জনকে বিবাদী করা হয়।

বৃহস্পতিবার (১৯ এপ্রিল) হাইকোটের বিচারপতি এস আর নাজমুল হোসেন ও বিচারপতি মো. ইকবালের আদালতে এ রিটের শুনানি হয়। শুনানি শেষে আদালত তিন মাসের জন্য নির্বাচন স্থগিতের আদেশ দেন।

ফরিদপুর জেলা নাজির মোকলেসুর রহমান মুন্সী বলেন, বৃহস্পতিবার রাতে হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা সংক্রান্ত আদেশটি ফরিদপুরে পৌঁছায়। শুক্রবার সকালে আদেশটি কার্যকর করার জন্য ওই নির্বাচন পরিচালনাকারী কর্মকর্তা মাহবুবুল ইসলামকে নোটিশ দেওয়ার চেষ্টা করা হলেও তিনি সেটি গ্রহণ করেননি।

পরে দুপুর ২টার দিকে মাহবুবুল ইসলামের শহরের ওয়ারলেস পাড়ার বাসভবন ও নির্বাচনী কেন্দ্র সারদা সুন্দরী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের গেটে হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা সংবলিত আদেশ টাঙিয়ে দেয়া হয়।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ফরিদপুরের ডেপুটি কালেক্টর নেজারত (এনডিসি) হাসান হাফিজুর রহমান বলেন, ওই নির্বাচনের দায়িত্ব পালনকারী নির্বাহী হাকিম ছিলেন তিনি। এ নির্বাচনসংক্রান্ত হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা জানার পর তিনি দায়িত্ব পালন করতে ভোটকেন্দ্রে যাননি।

ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এফ এম নাসিম বলেন, নির্বাচনে পুলিশ শান্তিশৃঙ্খলার দায়িত্ব পালন করতে গিয়েছিল। হাইকোর্ট নির্বাচন স্থগিত করেছে জানার দুপুর আড়াইটার দিকে পুলিশ প্রত্যাহার করা হয়।

নির্বাচন কর্মকর্তা মাহবুবুল ইসলাম বলেন, ‘জেলা প্রশাসনের আদেশে আমার পক্ষে নির্বাচন বন্ধ করা সম্ভব নয়, কেননা জেলা প্রশাসন পক্ষপাতদুষ্ট হতে পারে।’ তিনি বলেন, ‘নির্বাচনে দায়িত্ব পালনকারী নির্বাহী হাকিম ভোটকেন্দ্রে আসেননি। সকাল সাতটার মধ্যে ভোটকেন্দ্রে পুলিশ এলেও দুপুর আড়াইটার দিকে তারা চলে যায়।’

তবে বিকেল ৫টা ১০ মিনিটে নির্বাচন কর্মকর্তা মাহবুবুল ইসলাম জানান, ভোট গৃহণ শেষে গণনা শুরু হলেও হাইকোর্টের আদেশ পাওয়ার পর নির্বাচন স্থগিত করা হয়।

(ঢাকাটাইমস/২০এপ্রিল/মোআ)

বাংলাদেশ সময়: ২২:৫৩:০৭   ৩০২ বার পঠিত  




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আইন আদালত’র আরও খবর


এমসি কলেজে দলবেঁধে ধর্ষণ: আদালত পরিবর্তন চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন
পিকে হালদারের সহযোগী শঙ্খ ব্যাপারী কারাগারে
নির্বাচন কমিশনারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ফের রাষ্ট্রপতির কাছে চিঠি
আর্থিক বিচারে এখতিয়ার বাড়লো সিভিল কোর্টের
সাবেক বিচারক শাহবাগ থানায় মেয়ের বিরুদ্ধে জিডি করলেন
কারাগারে ফরিদপুরের দুই ইউপি চেয়ারম্যান
নারী সাক্ষীর সঙ্গে অশোভন আচরণ করায় বিচারক প্রত্যাহার
রাজধানীতে মা-ছেলে হত্যা মামলায় স্বামীসহ ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড
বিকৃত যৌন আচরণের শিকার হচ্ছে নারী ও শিশুরা
মাদক মামলায় পাপিয়া ও তার স্বামীর বিচার শুরু

আর্কাইভ