বুদ্ধিমান আর আবেগী প্রাণী হিসেবেই হাতি পরিচিত। অত্যন্ত শৃঙ্খলিত জীবনযাপনে অভ্যস্ত এ প্রাণীটিই কিনা হারিয়ে যাবে এ গ্রহ থেকে! এমনটাই ভবিষ্যতবাণী করছেন প্রাণীবিষয়ক গবেষকরা।
আর মাত্র দুই থেকে তিনশো বছর৷ আর তার পরেই গরুর চাইতে আয়তনে বড় সব স্থলচর প্রাণী বিলুপ্ত হয়ে যেতে পারে৷ বিলুপ্ত হয়ে যেতে পারে এ সময়ের বৃহত্তম স্থলচর প্রাণী হাতিও৷ তবে থেকে যাবে গরু। এ প্রাণীটির বিলুপ্ত হওয়ার কোনও সম্ভাবণা নেই।
প্রযুক্তি বিষয়ক ওয়েবসাইট ম্যাশেবলের একটি প্রতিবেদনে এমনটাই জানিয়েছেন প্রাণীবিষয়ক গবেষকরা। গবেষণাটির প্রধান লেখক ফেলিসা স্মিথ ইউনিভার্সিটি অব মেক্সিকোর জীববিজ্ঞানের একজন অধ্যাপক।
তার মতে, পৃথিবী থেকে বিভিন্ন প্রাণীর বিলুপ্তির পিছনে মানুষই দায়ী। ১৮০ কোটি বছর আগে থেকে মানুষ শিকার করে বিভিন্ন স্থলচর প্রাণীর মাংস খাওয়া শুরু করে। তখন থেকেই মানুষের হাতে মারা পড়ছে বড় প্রাণীগুলো। একদিকে মানুষ তাদেরকে মাংসের জন্য শিকার করে, অন্যদিকে পরিবেশগত পরিবর্তনের কারণে তারা অন্য এলাকায় গিয়েও বাস করতে পারে না।
ফেলিসা স্মিথ এবং তার সহকর্মীরা দীর্ঘকাল ধরে সাড়ে ছয় কোটি বছরের আগের একটি জীবাশ্ম নিয়ে গবেষণা করেন। তারা দেখেন, প্রতিটি মহাদেশেই মানুষের উপস্থিতির কারণে বড় আকারের স্থলচর প্রাণী কমে এসেছে।
বর্তমানে শুধু মাংস নয়, অন্য আরও কারণে বড় আকারের প্রাণী শিকার করে চলেছে মানুষ। কিছুদিন আগেই আফ্রিকার নর্দার্ন হোয়াইট প্রজাতির শেষ পুরুষ গণ্ডারটি মারা গেছে। জিরাফও রয়েছে বিলুপ্তপ্রায় প্রাণীর তালিকায়।
ফেলিসা স্মিথ বলেন, ‘বিলুপ্তপ্রায় প্রাণীগুলো আগামী ২০০ বা ৩০০ বছরের মধ্যে পৃথিবী থেকে বিলুপ্ত হয়ে যেতে পারে। ফলে গরুর চাইতে বড় কোনও প্রাণীই আর থাকবে না পৃথিবীতে।’
কিন্তু গরু কেন টিকে থাকবে? এর উত্তর হলো- প্রচুর মানুষ গরুর মাংস এবং দুধের ওপর নির্ভরশীল। গৃহপালিত হওয়ার কারণে এ প্রাণীটি টিকে থাকবে মানুষের পাশাপাশি।
বাংলাদেশ সময়: ১২:০৬:৩৮ ৪৬৪ বার পঠিত