২৭ এপ্রিল থেকে ৫ মে পর্যন্ত নয় দিনে মাত্র দুটি থাকবে কার্যদিবস। বাকি সাত দিনের মধ্যে চার দিন সাপ্তাহিক ছুটি এবং তিন দিন বিভিন্ন ছুটি। মাঝে দুটি কার্যদিবস ছুটি হিসেবে নিতে পারলে টানা নয় দিন নিজের মতো কাটানোর সুযোগ মিলবে।
তবে নয় দিনের ছুটি যোগার করা অত সহজ হবে না। কারণ, সাত ছুটির দিনের মাঝে যে দুটি কার্যদিবস আছে, সেটি যথাক্রমে তিন দিন এবং দুই দিন ছুটির পর পড়েছে। কাজেই দুটি দিনেই ছুটি চাইলেই বড় কর্তারা তা দেবেন, এমনটা ভাবা কঠিন।
তবে দুটি কার্যদিবস না পেয়ে একটিতে ছুটি মিললেও কেউ ছয় দিন, কেউ পাঁচ দিনের ফুরসত পাবেন এবং এতে অনায়াসে কোথাও ঘুরে বাসা যাবে।
কেউ যদি ৩০ এপ্রিল এবং ৩ মে দুই দিনই ছুটি নিতে পারেন, তাহলে তিনি পাবেন নয় দিনের ফুরসত। আর কেউ যদি কেবল ৩০ এপ্রিলের ছুটি নিতে পারেন, তাহলে তিনি ছয় দিন এবং কেউ যদি কেবল ৩ মের ছুটি পান, তাহলে তিনি হাতে পাবেন পাঁচ দিন।
এই ছুটির জালটা তৈরি হচ্ছে আগামী শুক্রবার ২৭ এপ্রিল থেকে। শুক্র ও শনি দুই দিন সাপ্তাহিক ছুটি। আর ২৯ এপ্রিল রবিবার বৌদ্ধপূর্ণিমার সরকারি ছুটিতেও বন্ধ থাকবে প্রতিষ্ঠান।
মাঝে ৩০ এপ্রিল সোমবার কর্মদিবসের পর আবার দুই দিনের ছুটি মিলবে। এর একদিন অবশ্য শ্রমজীবীরাও পাবে। কারণ, দিনটি যে তাদের জন্যই।
১ মে বিশ্বজুড়েই পালিত হবে শ্রমিক দিবস। অবশ্য ছুটি থাকলেও শ্রমিকদের দিনটি উপভোগ করা হয়ত হয়ে উঠবে না সেভাবে। কারণ, দিনভর নানা কর্মসূচিতে অধিকারের দাবি জানাবে তারা।
পরদিন বুধবারও থাকছে পবিত্র শবে বরাতের ছুটি। এই ছুটিও পাবে জরুরি সেবায় নিয়োজিত ছাড়া বেশিরভাগ চাকরিজীবী।
৪ এবং ৫ মে সাপ্তাহিক ছুটির আগে ৩ মে রয়েছে আরও একটি কর্মদিবস। সেই দিনটিরও ছুটির ব্যবস্থা করতে হবে কেউ যদি লম্বা ছুটি চায়।
অবশ্য ছুটির সুবিধা সব চাকুরের মিলবে, এমনটাও নয়। জরুরি সেবা ছাড়া সরকারি দপ্তর, ব্যাংক, বিমা বা বেসরকারি ও বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানের একটি অংশের কর্মীরাই এই সুবিধা পাবে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরাও উপভোগ করবে এই ছুটি।
এরই মধ্যে ঢাকার বাইরে বিভিন্ন বিনোদনকেন্দ্রে বুকিং দিয়ে ঘুরতে যাওয়ার প্রস্তুতি শেষ করেছে বহু জন। বিমান, ট্রেন, বাসের টিকিটের জন্য চলছে চেষ্টা।
সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে দল বেঁধে ঘুরতে যাওয়ার বিভিন্ন প্যাকেজের বিজ্ঞাপনও ঘুরে বেড়াচ্ছে। এতে দেশের পাশাপাশি বিদেশেও আকর্ষণীয় সুবিধা দেয়ার কথা বলে পর্যটক সংগ্রহের চেষ্টায় প্রতিষ্ঠানগুলো।
তবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, চিকিৎসা সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান, গণমাধ্যমকর্মী, শিল্প ও পোশাক শ্রমিকদের যাদের সাপ্তাহিক ছুটি একদিন আর যারা সব সরকারি ছুটি ভোগ করতে পারেন না, তাদের এই পাঁচ দিন বা ছয় দিন বা নয় দিনের হিসাব না কষাই ভালো। কারণ, তাদের হতাশই হতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১২:২৩:০৭ ২৬৩ বার পঠিত