হংকংয়ে অর্ধশতাধিক গণতন্ত্রপন্থী কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ডেমোক্র্যাটিক পার্টির নেতারা ফেসবুক পেজে লিখেছেন, সেপ্টেম্বরের অ্যাসেম্বলি নির্বাচনের আগে বিরোধীরা যে প্রাইমারি ভোটের আয়োজন করেছিল, তারই পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার এই গ্রেপ্তারের ঘটনা ঘটেছে। হংকংয়ে চীন যে জাতীয় নিরাপত্তা আইন চালু করেছে, তারই জেরে এই গ্রেপ্তার সম্ভব হয়েছে বলে তাঁদের দাবি।
একসঙ্গে এতো মানুষকে এর আগে কখনো গ্রেপ্তার করা হয়নি হংকংয়ে। বিক্ষোভ মিছিলে এর চেয়ে অনেক বেশি মানুষকে আটক করা হয়েছে। কিন্তু এভাবে গ্রেপ্তার করা হয়নি। গণতন্ত্রপন্থী বিরোধীপক্ষের বহু নেতাকে জেলে ঢুকিয়ে দিয়েছে হংকংয়ে চীনের প্রশাসন। তবে চীনের প্রশাসন এ বিষয়ে এখনো পর্যন্ত কোনো মন্তব্য করেনি। গণতন্ত্রপন্থীদের বক্তব্য, সেপ্টেম্বর হংকংয়ে অ্যাসেম্বলি নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। তার আগে বিরোধীদের শক্তি বোঝার জন্য তাঁরা একটি প্রাইমারি ভোটের ব্যবস্থা করেছিলেন। ওই ভোটের সঙ্গে প্রশাসনের কোনো সম্পর্ক নেই। বিরোধীরা বেসরকারিভাবে ওই ভোটের আয়োজন করেছিল। প্রাইমারি নির্বাচন হলেও অ্যাসেম্বলি নির্বাচন হয়নি। প্রশাসন প্যানডেমিকের দোহাই দিয়ে নির্বাচন স্থগিত রেখেছে। বিরোধীদের দাবি, নির্বাচন হলে বিরোধীরা অনেক বেশি আসন পেয়ে যাবে এবং হংকংয়ে চীনের প্রতিপত্তির উপর বাধা সৃষ্টি করবে, এই ভয়ে নির্বাচন স্থগিত রাখা হয়েছে।
চীনের প্রশাসন দাবি করেছিল, বেআইনিভাবে প্রাইমারি নির্বাচনের আয়োজন করা হয়েছিল। সেই কারণেই মঙ্গলবার এতজন বিরোধী নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। বিতর্কিত জাতীয় নিরাপত্তা আইনের সাহায্যে এই গ্রেপ্তার সম্ভব হয়েছে। বস্তুত, গ্রেপ্তারের পর গোটা হংকং জুড়ে ফের অস্থিরতা শুরু হয়েছে। বিরোধীরা বড় আন্দোলনের পরিকল্পনা শুরু করেছে।
সূত্র: ডয়চে ভেলে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬:৫৫:০০ ৬৩ বার পঠিত