সরকারের যুগপূর্তিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ ও মানুষের ভাগ্য উন্নয়নের একযুগ বলে বর্ণনা করেছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
মস্ত্রী আজ বিকেলে সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তর থেকে প্রকাশিত ‘সচিত্র বঙ্গবন্ধু’ আলোকচিত্র এলবামের মোড়ক উন্মোচনকালেএকথা বলেন। তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান, চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক স.ম. গোলাম কিবরিয়া এবং পরিচালক ও এলবামের সিনিয়র সম্পাদক মো. কামরুজ্জামান অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।
ড. হাছান বলেন, ‘একযুগ পূর্তিতে সরকারের সবচেয়ে বড় সফলতা হচ্ছে গত ১২ বছরে দেশের যেমন উন্নয়ন-অগ্রগতি হয়েছে, তেমনি প্রতিটি মানুষের ভাগ্যের উন্নয়ন হয়েছে। দারিদ্র্য কমেছে বহুলাংশে, বাংলাদেশে এখন ছেঁড়া কাপড় পরা, খালিপায়ে মানুষ দেখা যায়না, কবিতায় কুঁড়ে ঘর আছে, বাস্তবে নেই।’
তিনি বলেন, “১২ বছর আগে আমরা বলতাম ক্ষুধামুক্ত, দারিদ্র্যমুক্ত দেশ বিনির্মাণ করবো। জননেত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে বাংলাদেশ ইতোমধ্যেই ক্ষুধাকে জয় করে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ প্রায়, স্বল্পোন্নত থেকে উন্নীত মধ্যম আয়ের দেশে। সমস্ত সূচকে আমরা অনেক আগেই পাকিস্তান ও বেশ অনেক সূচকে ভারতকেও অতিক্রম করেছি।”
সেইসাথে ব্যর্থতার প্রশ্নে মন্ত্রী বলেন, ‘স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছর পরও একটি বড় রাজনৈতিক দল বিএনপি তাদেরকে দিয়ে রাজনীতি করে, যারা স্বাধীনতাটাই চায়নি। সেকারণেই স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি বাংলাদেশ থেকে নির্মূল হয়নি এবং সেটিই আমাদের ব্যর্থতা।’
করোনাকালেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি অব্যাহত রেখেছেন উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘২০২০ সালে মাত্র ২২টি দেশে ধ্বনাত্মক জিডিপি প্রবৃদ্ধি হয়েছে, তারমধ্যে বাংলাদেশ তৃতীয়। প্রায় সবদেশের রপ্তানি কমলেও আগের বছরের তুলনায় আমাদের রপ্তানি বেড়েছে, রেমিট্যান্স বেড়েছে ৩৫ শতাংশ, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বেড়েছে ১০ বিলিয়ন ডলার, জ্বালানি চাহিদাও বেড়েছে, যা অগ্রগতির প্রতীক। সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ দেশ হয়েও ব্লুমবার্গের রিপোর্ট অনুযায়ী বাংলাদেশ করোনা মহামারি মোকাবিলায় উপমহাদেশে সবচেয়ে সক্ষম এবং পৃথিবীতে ২০তম। ২০০৬ সালের ৪১.৫ শতাংশ থেকে দারিদ্র্যের হার কমে এখন ২০ শতাংশের নিচে, এবং অতিদারিদ্র্যের হার ২৪.২৩ শতাংশ থেকে ১০ শতাংশের নিচে নেমেছে, গড় আয়ু ৬৫ বছর থেকে হয়েছে ৭৩.২ বছর, যা ভারত এবং পাকিস্তনের চেয়েও অনেক বেশি, বলেন ড. হাছান।
‘সচিত্র বঙ্গবন্ধু’ এলবামে অনেক দুর্লভ ছবি স্থান পেয়েছে ও বাংলা এবং ইংরেজি দুই ভাষাতেই ক্যাপশন দেয়ায় বিদেশিরাও বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে জানতে পারবে উল্লেখ করে এ প্রকাশনার জন্য চলচ্চিত্র প্রকাশনা অধিদপ্তরকে ধন্যবাদ জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ ধারণের জন্য চলচ্চিত্র প্রকাশনা অধিদপ্তরের অবদান জাতির ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে।
তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে আমাদের সবাইকে বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে একযোগে কাজ অব্যাহত রাখতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২২:২৭:৪৭ ৯৪ বার পঠিত