নিউজ২নারায়ণগঞ্জঃ নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের (নাসিক) সিদ্ধিরগঞ্জের গোদনাইলে ১০,১১,১২ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র-৩ মিনোয়ারা মিনু এবং ১০নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর হাজী ইফতেখার আলম খোকনের নেতৃত্বে জোর পূর্বক নিরীহ পরিবারের জমি দখলে হামলার ঘটনার একদিন পর আবারো মাদক সন্ত্রাসী গলাকাটা জসিমের নেতৃত্বে আবারো মহড়া দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
রবিবার (১৩ মে) সকাল থেকে গোদনাইল এলাকার চিহ্নিত মাদক সন্ত্রাসী গলাকাটা জসিমের নেতৃত্বে মাদক ব্যবসায়ী জামান, কুট্টি, গিট্টু ও ময়নার নেতৃত্বে একটি সন্ত্রাসী বাহিনী অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে মহড়া দিচ্ছে বলে ভুক্তোভোগী পরিবারটি অভিযোগ করেছে।
এর আগে শনিবার (১২ মে) সকাল ১১টায় নাসিক ১০নং ওয়ার্ডের গোদনাইল রসুলবাগ এলাকায় দুই কাউন্সিলরের নেতৃত্বে এ ঘটনাটি ঘটেছে। খবর পেয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) কামরুল ইসলাম সঙ্গীয় ফোর্স ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এ ঘটনায় ওই এলাকার নিফাজ উদ্দিনের স্ত্রী ভুক্তোভোগী মোসা: শিউলী বেগম বাদী হয়ে প্যানেল মেয়র মিনোয়রা ও কাউন্সিলর খোকন সহ ১১ জনের নামে এবং আরো অজ্ঞাত ১০/২০ জনকে আসামী করে একটি অভিযোগ দায়ের করেছে।
ভুক্তোভোগী মোসা: শিউলী বেগম জানায়, গোদনাইল রসুলবাগ এলাকার মো: ইউনুছের স্ত্রী মিনোয়ারা বেগম, রফিক ডাক্তারের ছেলে খোকন, মৃত মহিউদ্দিনের ছেলে মাহাবুব ও ইছহাক, নীল মিয়ার ছেলে মনির, মৃত মিছির আলীর ছেলে মহিউদ্দিন, মৃত রওশন আলীর ছেলে জাকির, জসিম, সিদ্দিকের ছেলে রহিম, ইউনুছের ছেলে মামুন ও মিন্টুসহ অজ্ঞাত ১০/২০ গনদের সাথে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসিতেছে।
উক্ত বিরোধের জেড় ধরে শনিবার সকালে উল্লেখিত লোকজন দলে বলে আমার ও আমার বোন হাসনা বানুর বাড়ীতে প্রবেশ করে আমাদের বাড়ী-ঘর ভাংচুর ও গাছপালা কেটে আনুমানিক ৫ লাখ টাকার ক্ষতিসাধন করে। এসময় আমি ও আমার বোন আগাইয়া গেলে তারা আমাদেরকে মারধর করে জখম করে এবং আমাদের বাড়ী ঘরে লুটপাট চালায়। তারা জোড় পূর্বক আমাদের বাড়ী-ঘর দখল করে বাসের খুটি ঘারার চেষ্টা করে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ১০,১১,১২ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র-৩ মিনোয়ারা মিনু জানায়, আমরা কারো জায়গা দখল করতে যাইনি। একটি পক্ষের সাথে সীমানা সংক্রান্ত জটিলতা ছিলো। আমি ও কাউন্সিলর খোকনসহ এলাকার পঞ্চায়েতের লোকজন জমিটি মাপার জন্য গিয়েছিলাম।
এ বিষয়ে জানতে ১০নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ইফতেখার আলম খোকনের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করলেও তিনি রিসিভ করেননি।
এ ব্যাপারে ঘটনাস্থলে যাওয়া সিদ্ধিরগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) কামরুল ইসলাম জানায়, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি মহিলা কাউন্সিলরের লোকজন ওই বাড়ীর গাছপালা কেটে বাঁশ গেড়ে সীমনা দিচ্ছিল।
শুনেছি কাউন্সিলরের পক্ষের লোকজন আদালতে এ জমি সংক্রান্ত মামলা করেছিলো কিন্তু আদালত তা খারিজ করে দিয়েছে। আমি তাদেরকে কাজ বন্ধ রেখে কাগজ পত্র নিয়ে উভয় পক্ষকে বসে মিমাংসা করার কথা বলেছি। এ ব্যাপারে থানায় একটি অভিযোগ হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১১:০৫:৪১ ২৭২ বার পঠিত