রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ ৯ জুন আন্তর্জাতিক আরকাইভস দিবস
উপলক্ষে বাণী প্রদান করেছেন :
“আন্তর্জাতিক আরকাইভস দিবস উপলক্ষে আমি আরকিভিস্ট, আরকাইভস
ব্যবহারকারী, গবেষক এবং আরকাইভস ও গ্রন্থাগার অধিদপ্তরের কর্মকর্তা-
কর্মচারীসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাচ্ছি।
সুশাসন, তথ্যভা-ার ও ঐতিহ্যের ধারক হিসেবে ১৯৭২ সাল থেকে জাতীয়
আরকাইভস কাজ করে আসছে। জাতীয় আরকাইভস আজ বাংলাদেশের শিক্ষা,
সাহিত্য, সংস্কৃতি, ইতিহাস ও ঐতিহ্যের প্রাণকেন্দ্রে পরিণত হয়েছে।
ভূ-রাজনীতি, নিজস্ব ভাষা এবং সংস্কৃতি বিবেচনায় বাংলাদেশ পৃথিবীর
বুকে নিজের স্থান করে নিয়েছে। জাতীয় আরকাইভসের সংগ্রহশালায় রক্ষিত
পুরাতন নথিপত্র দেশ-বিদেশের সাংবাদিক, বুদ্ধিজীবী, শিক্ষক, গবেষকসহ
সর্বস্তরের জনসাধারণের নিকট গ্রহণযোগ্য ইতিহাস চর্চার অমূল্য দলিল।
তাই আন্তর্জাতিক আরকাইভস দিবসে এবারের প্রতিপাদ্যবাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক বলে
আমি মনে করি। আমি আশা করি এ দিবসটি যাপনের মাধ্যমে আরকাইভস ও
গ্রন্থাগার অধিদপ্তর আরকাইভসের গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে জনগণকে
অবহিত করতে সমর্থ হবে।
বর্তমান সরকার বাংলাদেশকে ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের এবং ২০৪১
সালের মধ্যে উন্নত দেশে রূপান্তরিত করতে নানা কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে।
এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ জাতীয় আরকাইভস সহজে, স্বল্প ব্যয় ও সময়ে
জনগণের তথ্যপ্রাপ্তির অধিকার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে প্রযুক্তিনির্ভর বাস্তবমুখী
বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ায় অগ্রণী ভূমিকা
রাখছে। বাংলাদেশ জাতীয় আরকাইভসকে একটি আধুনিক ও উন্নত আরকাইভস
হিসেবে গড়ে তোলার প্রত্যয়ে সংশ্লিষ্ট কর্র্তৃপক্ষ, সাংবাদিক, বুদ্ধিজীবী,
শিক্ষক, গবেষকসহ সর্বস্তরের জনসাধারণের সর্বাত্মক প্রচেষ্টা অব্যাহত
থাকবে- এ প্রত্যাশা করি।
আমি আন্তর্জাতিক আরকাইভস দিবস ২০১৮ উপলক্ষে গৃহীত সকল
কর্মসূচির সাফল্য কামনা করছি।
খোদা হাফেজ, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”
বাংলাদেশ সময়: ২১:৩৫:০৫ ৩০৬ বার পঠিত