সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের জানিয়েছেন, ভারতীয় লাইন অব ক্রেডিটের আওতায় বিআরটি’র জন্য ৪শ’টি বাস, ৫শ’টি ট্রাক ক্রয়ের প্রক্রিয়া শেষ পর্যায়ে রয়েছে।
আজ রবিবার সংসদে জাতীয় পার্টির সদস্য সেলিম উদ্দিনের তারকা চিহ্নিত প্রশ্নের জবাবে তিনি আরো বলেন, শিগগিরই আরো ২শ’টি এসি বাস কেনার দরপত্র আহ্বান করা হবে। চালকসহ বিভিন্ন পদে লোক নিয়োগ কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন এবং ডিপোগুলোতে স্বচ্ছলতা আনার জন্য ডিজিটাইজড করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, জাতীয় স্কেল, ২০১৫ এর বাস্তবায়নের আগে বিআরটিসি অপারেটিং লাভে ছিল। কিন্তু পরিবর্তী নতুন পে-স্কেল বাস্তবায়নের ফলে ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ৪৭৩ কোটি টাকা লোকসান হয়েছে।
মন্ত্রী বলেন. ‘সেবাই আদর্শ’ এ মুলমন্ত্র ধারণ করে বিআরটিসি জনগণকে স্বপ্লমূল্যে যাত্রী ও পণ্য পরিবহন সেবা দেয়ার জন্য কার্যক্রম পরিচালনা করে। বিআরটিসিতে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতাদি পেনশন/গ্র্যাচুইটির যাবতীয় খরচ কর্পোরেশন নিজস্ব আয় থেকে বহন করে থাকে। সরকারের কাছ থেকে এ বাবদ কোন অর্থ গ্রহণ করে না।
লোকসানের কারণসমূহ তুলে ধরে তিনি বলেন, পে-স্কেল, ২০১৫ বাস্তবায়নের ফলে বিআরটিসির বেতন-ভাতা পূর্বের তুলনায় প্রতিমাসে ২.৮ কোটি টাকা বেড়েছে। অবসরপ্রাপ্ত শ্রমিক কর্মকর্তা ও কর্মচারীর নতুন পে-স্কেল অনুযায়ী গ্র্যাচুইটি পরিশোধ, গাড়ির ভাড়া বৃদ্ধি না করা, গাড়িগুলো ক্রমান্বয়ে পুরাতন হয়ে যাওয়ায় রক্ষণাবেক্ষণসহ পরিচালনা ব্যয় বৃদ্ধি ও চালক, কারিগর ও কন্ডাক্টর পদে লোকবলের সংকট।
মন্ত্রী বলেন, পে-স্কেল বাস্তবায়নের ফলে সরকার থেকে বিআরটিসি বকেয়া বেতন-ভাতা এবং গ্র্যাচুইটি খাতে ২১ কোটি টাকা সুদ মুক্ত ঋণ হিসেবে পেয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫:০৭:৫৮ ৩৪৬ বার পঠিত