‘প্রজন্মের জন্য নিরাপত্তা ও সুস্বাস্থ্য’ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও আগামীকাল পালিত
হবে ‘বিশ্ব শিশুশ্রম প্রতিরোধ দিবস’।
প্রতি বছর বাংলাদেশসহ বিশ্বের ৮০টি দেশে এ দিবস পালিত হয়।
আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) দিবসটির প্রতিপাদ্য নির্বাচন করে
থাকে। দিবসটির গুরুত্ব বিবেচনায় রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ এবং
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাণী দিয়েছেন। শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এবং
আইএলও, সেইভ দ্য চিলড্রেন, মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন, বাংলাদেশ শিশু অধিকার
ফোরাম এবং ওয়ার্ল্ড ভিশনের সহযোগিতায় শিশুশ্রম প্রতিরোধে গণসচেতনতা
বৃদ্ধিমূলক আলোচনাসভা, সারাদেশে পোস্টারিং এবং লিফলেট বিতরণসহ
বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। দিবসটির গুরুত্ব তুলে ধরে বিভিন্ন
প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া বিশেষ অনুষ্ঠান প্রচার করবে।
সরকার ২০২১ সালের মধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ শিশুশ্রম নিরসনে
প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এজন্য ৩৮টি ঝুঁকিপূর্ণ কাজে নিয়োজিত শিশুদের
প্রত্যাহারের লক্ষ্যে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় উপ-আনুষ্ঠানিক শিক্ষা এবং
দক্ষতাবৃদ্ধিমূলক প্রশিক্ষণের জন্য প্রায় ২৮৫ কোটি টাকার প্রকল্প গ্রহণ
করেছে। উল্লেখ্য, ইতোমধ্যে তৈরিপোশাক শিল্প এবং চিংড়ি প্রক্রিয়াজাতকরণ
শিল্পকে শতভাগ শিশুশ্রম মুক্ত করা হয়েছে। ২০৩০ সালের টেকসই উন্নয়ন
লক্ষ্যমাত্রাকে সামনে রেখে শ্রম মন্ত্রণালয় ২০২৫ সালের মধ্যে শিশুশ্রম নিরসনে
সম্প্রতি নতুন করে কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করেছে। কর্মপরিকল্পনা অনুযায়ী
জাতীয় পর্যায় থেকে জেলা-উপজেলা পর্যায়ে শিশুশ্রম নিরসনে কমিটি কাজ
করছে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর জরিপ অনুযায়ী বাংলাদেশে বর্তমানে ১২
লাখ ৮০ হাজার শিশু ঝুঁকিপূর্ণ কাজে নিয়োজিত।
শিশুর অধিকার সুরক্ষা ও ঝুঁকিপূর্ণ শিশুশ্রম প্রতিরোধের লক্ষ্যে আইএলও
২০০২ সাল থেকে নানা কর্মসূচি গ্রহণের মধ্য দিয়ে দিবসটি পালন করে
আসছে।
বাংলাদেশ সময়: ০:১৫:১৬ ৭০৫ বার পঠিত