নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ উপজেলায় ৫০ হাজার টাকা যৌতুকের না পেয়ে স্ত্রী সখিনা খাতুনকে হত্যার দায়ে স্বামী বাবুলের ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত। এছাড়া তার এক লাখ টাকা অর্থদণ্ডও করা হয়।
ঘটনার ১৪ বছর পর মঙ্গলবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক জুয়েল রানা এই রায় দেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি বাবুল ফরিদপুরের মধুখালীর গোন্দারদিয়ার আব্দুল বাতেন ভূইয়ার ছেলে। তার স্ত্রী সখিনা ফরিদপুরের মধুখালীর গোন্দারদিয়ার তমিজ উদ্দিনের মেয়ে। তারা রূপগঞ্জ উপজেলার নওয়াপাড়া এলাকায় ভাড়াটিয়া বাসায় বসবাস করতেন। দণ্ডিত বাবুল পলাতক রয়েছেন।
নারায়ণগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের পিপি আইনজীবী রকিব উদ্দিন জানান, ৫০ হাজার টাকা যৌতুকের দাবিতে স্ত্রী সখিনাকে হত্যার দায়ে স্বামী বাবুলের ফাঁসির রায় দিয়েছেন আদালত। এছাড়া আসামিপক্ষের কাছ থেকে এক লাখ টাকা আদায় করে বাদীপক্ষকে দেয়ার জন্য বলা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, ২০০৪ সালের ১৫মে রাতে ৫০ হাজার টাকার জন্য স্ত্রী সখিনাকে বেধড়ক পিটিয়ে আহত করে স্বামী বাবুল। পরে তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি করানো হলে পাঁচ দিন পর সখিনার মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় সখিনার বাবা তমিজ উদ্দিন বাদী হয়ে ২০০৪ সালের ২১ মে ছয়জনকে আসামি করে রূপগঞ্জ থানায় একটি মামলা করেন। প্রধান আসামি করা হয় বাবুলকে।
পরে শুধু বাবুলকে অভিযুক্ত করে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। মামলার ১৪ জনের মধ্যে সাত সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত আজ এই রায় ঘোষণা করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৩:৫৮:৩৯ ৩০০ বার পঠিত