ঈদের দুপুরে খালেদা খেলেন পরিবারের দেয়া খাবার

প্রথম পাতা » আইন আদালত » ঈদের দুপুরে খালেদা খেলেন পরিবারের দেয়া খাবার
শনিবার, ১৬ জুন ২০১৮



---বিএনপি চেয়ারপার্সন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া তৃতীয়বারের মতো কারাগারে ঈদ পালন করছেন। এর আগে ১/১১ সরকারের সময় রোজার ঈদ ও কোরবানির ঈদ সংসদ ভবন এলাকার সাব জেলে কাটিয়েছিলেন তিনি।

এবার রোজার ঈদ কাটছে নজিম উদ্দিন রোডের পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে। জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দূর্নীতি মামলায় দুর্নীতির মামলায় ৭৩ বছর বয়সী খালেদা জিয়া দণ্ড পেয়ে চার মাসেরও বেশি সময় ধরে পুরান ঢাকার ওই কারাগারে আছেন।

এদিকে শনিবার দুপুরের দিকে খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন পরিবারের ২০ সদস্য। স্বজনদের মধ্যে খালেদা জিয়ার বড় বোন সেলিমা ইসলাম, ভাই শামিম এস্কান্দার, ভাইয়ের স্ত্রী কানিজ ফাতেমা এবং তাদের ছেলে অভি এস্কান্দার, খালেদা জিয়ার ভাগ্নে মামুনসহ অন্যান্যরা ছিলেন। তারা খালেদা জিয়াকে খাবার, নতুন কাপড় এবং ফুল দেন।

কারা সূত্র জানায়, ঈদ উপলক্ষে কারাবন্দিদের জন্য সাধারণত বিশেষ খাবারের আয়োজন করে কারা কর্তৃপক্ষ। একই আয়োজন ছিল কারাবন্দি খালেদা জিয়ার জন্যও। ঈদের দিন সকালে তার জন্য সেমাই-মুড়ি, পায়েস, ফিন্নি ছিল। দুপুরে ছিল পোলাও, মুরগি-গরুর মাংস, রাতে পোলাও মাছ-মাংস দেয়া হবে।

তবে খালেদা জিয়া সাধারণত সকাল ও রাতে রুটি খান। মিষ্টি জাতীয় খাবার তার পছন্দ না হলেও ঈদের দিন সেমাই-পায়েস একটু করে খেয়েছেন। এছাড়া দুপুরে কারা কর্তৃপক্ষ তাকে বিশেষ খাবার সরবরাহ করলেও তিনি পরিবারের দেয়া খাবারই খেয়েছেন। রাতে কারা কর্তৃপক্ষের সরবরাহকৃত সবজি-ডাল ও মুরগির মাংস দিয়ে রুটি খাবেন বলে কারাসূত্রে জানা গেছে।

কারাসূত্র জানায়, খালেদা জিয়া খাবারের ক্ষেত্রে খুব সচেতন। তিনি তৈলাক্তযুক্ত খাবার খুব কম খান। মুরগির মাংস খান। গরুর মাংস দুয়েক পিস খান। এছাড়া মাছ যদি খান, তাহলে শিং, পাবদা ও রুই মাছ খান। সকালে ও রাতে রুটি খান।

সূত্র জানায়, খালেদা জিয়ার স্বাস্থের অবস্থা আগের মতোই রয়েছে। উন্নতি বা অবনতি বলা যাবে না। টেম্পারেচার বেশি থাকা ও রোজা রাখায় খালেদা জিয়ার শরীর একটু দূর্বল। তবে এটি দুশ্চিন্তার মতো নয়। চার থেকে পাঁচদিনের মধ্যে শরীরের দূর্বলতা কেটে যাবে।

প্রসঙ্গত, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় গত ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদ- দেন রাজধানীর বকশীবাজারে স্থাপিত অস্থায়ী পঞ্চম বিশেষ জজ আদালত। রায় ঘোষণার পরপরই তাকে ওই দিন বিকালে নাজিম উদ্দিন রোডের পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। তিনি এখন সেখানেই আছেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৭:২৩:১১   ৩৭২ বার পঠিত  




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আইন আদালত’র আরও খবর


এমসি কলেজে দলবেঁধে ধর্ষণ: আদালত পরিবর্তন চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন
পিকে হালদারের সহযোগী শঙ্খ ব্যাপারী কারাগারে
নির্বাচন কমিশনারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ফের রাষ্ট্রপতির কাছে চিঠি
আর্থিক বিচারে এখতিয়ার বাড়লো সিভিল কোর্টের
সাবেক বিচারক শাহবাগ থানায় মেয়ের বিরুদ্ধে জিডি করলেন
কারাগারে ফরিদপুরের দুই ইউপি চেয়ারম্যান
নারী সাক্ষীর সঙ্গে অশোভন আচরণ করায় বিচারক প্রত্যাহার
রাজধানীতে মা-ছেলে হত্যা মামলায় স্বামীসহ ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড
বিকৃত যৌন আচরণের শিকার হচ্ছে নারী ও শিশুরা
মাদক মামলায় পাপিয়া ও তার স্বামীর বিচার শুরু

আর্কাইভ