মৌলভীবাজার জেলার বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। শহরের নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। বন্যার কারণে মৌলভীবাজার শহর অনেকটা স্থবির হয়ে পড়েছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে জেলার কয়েক লাখ মানুষ। এখন পর্যন্ত সাতজনের মৃত্যু হয়েছে।
এদিকে বন্যা পরিস্থিতি দেখ ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনামন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া আজ সোমবার মৌলভীবাজার যাচ্ছেন। তিনি কয়েকটি এলাকা পরিদর্শন করবেন।
বন্যার্তদের সহযোগিতায় কাজ করছে স্থানীয় প্রশাসন। তাদের সহায়তায় নেমেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও বিজিবি।
মৌলভীবাজারের জেলা প্রশাসক তোফায়েল ইসলাম রবিবার বিকালে এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, বন্যায় পাঁচ উপজেলার ৩০টি ইউনিয়ন ও দুটি পৌরসভার মোট ৪০ হাজার ২০০ পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
প্রেস ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, মনু ও ধলাই নদীর পানি বৃদ্ধির কারণে বন্যা প্রতিরক্ষা বাঁধের ২৫ স্থানে ভাঙন দেখা দিয়েছে। ইতিমধ্যে বন্যাকবলিত এই জেলায় ৫০টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে। ইতিমধ্যে ৫৩৯০ জনকে উদ্ধার করে আশ্রয়কেন্দ্রে নেয়া হয়েছে।
ডিসি জানান, মৌলভীবাজার সদরে খোলা হয়েছে ছয়টি আশ্রয়কেন্দ্র। গুলোর মধ্যে আছে সরকারি কলেজ, সরকারি মহিলা কলেজ, টেকনিকেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট, পিটিআই। এছাড়াও বেসরকারি উদ্যোগে আরও কয়েকটি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে যেখানে বিএনসিসি, স্কাউটসহ বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবীদের মাধ্যমে খিচুরি রান্না করে বিতরণ করা হচ্ছে।
জেলা প্রশাসক জানান, সেনাবাহিনীর চারটি টিম বন্যা দুর্গত এলাকায় কাজ করছে। তারা পানিবন্দিদের উদ্ধারকাজে ১৮টি স্পিডবোট ব্যবহার করছে। আরও সংগ্রহ করা হচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, নগদ নয় লাখ ৪০ হাজার টাকা, ৭৪৩ মেট্রিকটন চাল বরাদ্দ করা হয়েছে। মজুদ আছে এক হাজার ৩৭ মেট্রিকটন চাল। আরও বরাদ্দ হয়েছে ৫০০ মেট্রিক টন চাল ও নগদ ১০ লাখ টাকা। তিন হাজার শুকনো খাবারের প্যাকেটের আশ্বাস মিলেছে।
ডিসি জানান, শহরের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় বিজিবির চারটি গাড়ি টহল দিচ্ছে। সিভিল সার্জনের নেতৃত্বে ৭৪টি মেডিকেল টিম বন্যাকবলিত এলাকায় কাজ করছে।
দুর্গত এলাকা থেকে জরুরি যোগাযোগের জন্য একটি (০১৭২৪৬৮৫৭৮৪) হটলাইন খোলা হয়েছে। বন্যাকবলিত এই জেলাকে কর্তৃপক্ষ বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে দেখছে বলে জানান জেলা প্রশাসক।
বাংলাদেশ সময়: ১২:১৯:২৮ ৩০৯ বার পঠিত