রাতে তিউনিশিয়ার বিপক্ষে মাঠে নামছে শক্তিশালী ইংল্যান্ড। ম্যাচ শুরু বাংলাদেশ সময় রাত ১২টায়। ১৯৬৬ সালে চ্যাম্পিয়ন হবার পর বিশ্বকাপে টানাই ব্যর্থ ইংল্যান্ড। এবারও তাদের ফেভারিট মনে করা হচ্ছে না। তবে তাদের অনেক দূর যাওয়ার যোগ্যতা আছে সেটাও মেনে নিচ্ছেন ফুটবল পণ্ডিতরা।
ইংল্যান্ডের এবারের দলটি তরুণ খেলোয়াড়ে ঠাসা। এ নিয়ে কম কথা শুনতে হয়নি কোচ সাউথগেটকে। বিশেষ করে অভিজ্ঞ গোলরক্ষক জো হার্ট এবং মিডফিল্ডার জ্যাক উইলশেয়ারকে বাদ দেওয়া নিয়ে রীতিমতো হইচই বেঁধে গিয়েছিল । তবে তাতে কর্ণপাত করেননি কোচ সাউথগেট। দল গঠনের ক্ষেত্রে তিনি যে খেলোয়াড়দের সাম্প্রতিক ফর্ম ও ফিটনেসকেই প্রাধান্য দিয়েছেন, তা স্পষ্ট।
গোলকিপার হিসেবে জর্ডান পিকফোর্ডরই প্রথম ম্যাচে খেলার সম্ভাবনা বেশি। ডিফেন্সে রয়েছেন কাইল ওয়াকার, জন স্টোন্স, আলেকজান্ডার আরনল্ড। ক্লাব ফুটবল মৌসুমে এবার তাঁদের পারফরম্যান্স ছিল অসাধারণ। জাতীয় দলে তার কতখানি প্রতিফলন ঘটে সেটি দেখার বিষয়। তবে ডেলে আলি, এরিক ডায়ার ও ফ্যাবিয়ান ডেলফদের নিয়ে সাজানো মাঝমাঠে অভিজ্ঞতার অভাব সমস্যায় ফেলতে পারে ইংলিশদের।
সত্যিই বলতে কি, আক্রমণভাগই এবার ইংল্যান্ডের মূলশক্তি। ফরওয়ার্ড লাইনে রয়েছেন রহিম স্টারলিং, মারকাস র্যাশফোর্ড, হেসে লিঙ্গার্ড ও দুরন্ত ফর্মে থাকা হ্যারি কেন। তাঁদের গতি ও গোল করার দক্ষতা যেকোনও প্রতিপক্ষের রক্ষণভাগকেই চাপে রাখবে। বিশ্বকাপে ইংল্যান্ড অধিনায়কের আর্মব্যান্ড তুলে দেওয়া হয়েছে হ্যারি কেনকে। তরুণদের নিয়ে গড়া এই দলের অন্যতম সুপারস্টার তিনিই। ইংল্যান্ডের হয়ে ২৩ ম্যাচে ১২টি গোল রয়েছে কেনের। তাঁকে কেন্দ্রে রেখেই বিশ্বকাপে ৫৪ বছরের খেতাব খরা কাটিয়ে ওঠার স্বপ্ন দেখছে থ্রি লায়ন্সরা। তিউনিশিয়া ছাড়াও ইংল্যান্ডের সঙ্গে ‘জি’ গ্রুপে রয়েছে বেলজিয়াম ও পানামা। কোনও অঘটন না ঘটলে গ্রুপ পর্ব ভালোভাবেই তাদের পেরিয়ে যাওয়ার কথা।
সাউথগেটের দলের বড় সুবিধা, প্রথম ম্যাচে তিউনিশিয়ার মতো সহজ প্রতিপক্ষকে সামনে পাওয়া। এখনও পর্যন্ত চারটি বিশ্বকাপে অংশ নিয়েও একবারের জন্য গ্রুপ পর্বের গণ্ডি পেরতে পারেনি আফ্রিকার দেশটি। এমন একটা দলের বিরুদ্ধে জিতে মনোবল বাড়িয়ে নেওয়ার লক্ষ্যে মাঠে নামবেন হ্যারি কেনরা।
বাংলাদেশ সময়: ১২:৩৩:৫৮ ২৪৩ বার পঠিত