প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০ জুন কবি সুফিয়া কামালের জন্মবার্ষিকী
উপলক্ষে বাণী প্রদান করেছেন :
“গণতান্ত্রিক এবং নারীমুক্তি আন্দোলনের অন্যতম অগ্রদূত কবি বেগম
সুফিয়া কামালের ১০৭তম জন্মদিন উপলক্ষে আমি তাঁর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা
জানাই।
কবি সুফিয়া কামাল ১৯১১ সালের ২০ জুন বরিশালে জন্মগ্রহণ করেন।
একদিকে তিনি ছিলেন আবহমান বাঙালি নারীর প্রতিকৃতি; অন্যদিকে বাংলার
প্রতিটি আন্দোলন সংগ্রামে ছিল তাঁর দৃপ্ত পদচারণা।
নারী জাগরণের অগ্রদূত বেগম রোকেয়ার চিন্তাধারা কবি সুফিয়া
কামালের জীবনে সুদূরপ্রসারী প্রভাব ফেলে। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম
মহিলা হোস্টেলকে ‘রোকেয়া হল’ নামরকরণের দাবি জানান। ১৯৬১ সালে পাকিস্তান
সরকার রবীন্দ্রসংগীত নিষিদ্ধ করলে এর প্রতিবাদে আন্দোলন করেন। তিনি শিশু
সংগঠন কচিকাঁচার মেলার প্রতিষ্ঠাতা।
৫২’র ভাষা আন্দোলন, ৬৯’র গণঅভ্যূত্থান, ৭১’র অসহযোগ আন্দোলন ও মহান
মুক্তিযুদ্ধ এবং স্বাধীন বাংলাদেশে বিভিন্ন গণতান্ত্রিক সংগ্রামসহ শিক্ষা ও
সাংস্কৃতিক আন্দোলনে তাঁর প্রত্যক্ষ উপস্থিতি তাঁকে জনগণের ‘জননী
সাহসিকা’ উপাধিতে অভিষিক্ত করেছে।
সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর
রহমানকে ৭৫’র ১৫ই আগস্টে নির্মমভাবে হত্যা করে যখন এদেশের ইতিহাস
বিকৃতির পালা শুরু হয়, তখনও তাঁর সোচ্চার ভূমিকা বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের
গণতান্ত্রিক শক্তিকে নতুন প্রেরণা যুগিয়েছে।
কবি সুফিয়া কামালের সৃজনশীলতা অবিস্মরণীয়। শিশুতোষ রচনা ছাড়াও
দেশ, প্রকৃতি, গণতন্ত্র, সমাজ সংস্কার এবং নারীমুক্তিসহ বিভিন্ন বিষয়ে তাঁর
লেখনী আজও পাঠককে আলোড়িত করে।
আমি কবি বেগম সুফিয়া কামালের আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি।
জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু
বাংলাদেশ চিরজীবী
হোক।”
বাংলাদেশ সময়: ১৩:১৩:৩০ ৩৫০ বার পঠিত