ভারতে এক ইসরায়েলি রাজনীতিকের সঙ্গে বৈঠক করে আসা বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব আসলাম চৌধুরীর বিরুদ্ধে ব্যাংকের ১৪৯ কোটি টাকা মেরে দেয়ার অভিযোগে করা মামলায় অভিযোগপত্র চূড়ান্ত করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদক।
এই মামলায় বিএনপি নেতার সঙ্গে আসামি করা হয়েছে আরও তিন জনকে।মঙ্গলবার কমিশন সভায় এই অনুমোদন দেয়া হয়।
রাইজিং এগ্রো ফার্মার ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও রাইজিং স্টিল মিলস লিমিটেডের জামিনদার আসলাম চৌধুরী ছাড়া অন্য আসামিরা হলেন- চট্টগ্রামের রাইজিং স্টিল মিলস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আমজাদ হোসেন চৌধুরী, একই প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান জামিলা নাজলিন মাওলা ও পরিচালক জসিম উদ্দীন চৌধুরী।
দুদকের গণসংযোগ কর্মকর্তা প্রণব কুমার ভট্টাচার্য ঢাকাটাইমসকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
দুদকের অভিযোগে বলা হয়, পরস্পরের যোগসাজসে সাউথ ইস্ট ব্যাংকের হালিশহর শাখা থেকে আসলাম চৌধুরী ও অন্য আসামিরা ২০১০ ও ২০১২ সালে এলসি খুলে ঋণ বাবদ ১৫২ কোটি ৮৪ লাখ টাকা নেন। পরে সুদসহ অনাদায়ী ঋণের ২৩৭ কাটি ৫২ লাখ টাকার মধ্যে ৮৮ কোটি ৩২ লাখ টাকা পরিশোধ করা হয়। বাকি ১৪৯ কোটি ২০ লাখ টাকা পরিশোধ না করে আত্মসাৎ করেন আসামিরা।
তদন্তে অভিযোগ প্রমাণ পাওয়ায় হওয়ায় দণ্ডবিধির ৪০৯/৪২০/১০৯ ধারায় অভিযোগপত্র অনুমোদন দিয়েছে দুদক।
২০১৬ সালের ২৬ ডিসেম্বর দুদকের উপপরিচালক মোশারফ হোসেইন মৃধা বাদী হয়ে চট্টগ্রামের হালিশহর (সিএমপি) থানায় আসামিদের বিরুদ্ধে মামলাটি করেছিলেন। তিনি মামালার তদন্ত করে অভিযোগপত্র দাখিলের সুপারিশ করেন। শিগগিরই আদালতে তা জমা দেয়া হবে বলে দুদক কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
ব্যবসায়ী আসলাম চৌধুরী গ্রেপ্তার আছেন রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায়। ২০১৬ সালে ভারতে ইসরায়েলি রাজনীতিক মেন্দি এস সাফাদির সঙ্গে আসলাম চৌধুরীর বৈঠকের কিছু ছবি ফাঁস হয়। সাফাদি সে দেশের গোয়েন্দা সংস্থা মোসদের সদস্য বলে সে সময় গণমাধ্যমে প্রতিবেদন এসেছিল।
আর মোসাদের সঙ্গে বৈঠক করে সরকার উৎখাতের চেষ্টার অভিযোগে ২০১৬ সালের ১৫ মে আসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়।ওই বছরের ২৬ মে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক গোলাম রব্বানী।
বাংলাদেশ সময়: ১৩:০৬:৪১ ৩৬১ বার পঠিত