চলমান মাদকবিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। এ সময় মাদক সেবন ও বিক্রির অভিযোগে ৩৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে সংস্থাটি।
বুধবার সকাল থেকে নিয়ে বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত এই অভিযান চালায় ডিএমপির বিভিন্ন থানা ও গোয়েন্দা পুলিশ।
গ্রেপ্তারের সময় তাদের হেফাজত থেকে এক হাজার ৮৪৯ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট, ৮৩ গ্রাম ১৩২২ পুরিয়া হেরোইন, এক কেজি ৪০০ গ্রাম ৬০ পুরিয়া গাঁজা ও ৩.৫ লিটার দেশি মদ উদ্ধার করা হয়।
ডিএমপি সূত্র জানায়, গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে ২৮টি মামলা করা হয়েছে।
এর আগে বুধবার রাজধানীর মোহাম্মদপুর জেনেভা ক্যাম্পে মাদকবিরোধী অভিযান চালায় পুলিশ। প্রায় আড়াই ঘণ্টার অভিযানে সন্দেহভাজন ৫১ জনকে আটক করা হয়। তবে মাদকের সঙ্গে জড়িত ‘রাঘববোয়ালরা’ এবারও ফসকে গেছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের মোহাম্মদপুর জোনের এডিসি ওয়াহিদুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, ‘মাদকবিরোধী অব্যাহত অভিযানের অংশ হিসেবে আমরা এই অভিযান পরিচালনা করেছি। অভিযানে আমরা ৫১ জনকে সন্দেহভাজন হিসেবে আটক করেছি। পরবর্তী যাচাই বাছাই শেষে এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এছাড়াও আমরা ৭০০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করেছি।’
এদিকে রাজধানীর মোহাম্মদপুরে মাদকবিরোধী অভিযানের সময় মাদক কারবারিদের সঙ্গে পুলিশের গোলাগুলির ঘটনায় তালিকাভুক্ত এক মাদক বিক্রেতা পায়ে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় গ্রেপ্তার হয়েছেন। এই মাদক কারবারির নাম ফালু। তার বিরুদ্ধে রাজধানীর বিভিন্ন থানায় মাদকসহ বিভিন্ন অপরাধে ১৪টি মামলা রয়েছে।
সারাদেশে মাদক ভয়াবহ আকার ধারণ করায় গত মাসের মাঝামাঝি সময়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মাদকের বিরুদ্ধে সাঁড়াশি অভিযানে নামে। দেশব্যাপী এই অভিযানে মাদকের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে কয়েক হাজার লোককে গ্রেপ্তার করা হয়। এই সময় র্যাব-পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে মারা গেছে দেড় শতাধিক।
মাদকবিরোধী এই অভিযানকে দেশের সাধারণ মানুষ সাধুবাদ জানালেও কিছু কিছু কথিত বন্দুকযুদ্ধ নিয়ে আছে সমালোচনা। বিশেষ করে কক্সবাজারের টেকনাফের পৌর কাউন্সিলর একরামের কথিত বন্দুকযুদ্ধ নিয়ে জন্ম দিয়েছে নানা প্রশ্ন। একরাম নিহত হওয়ার পর সমালোচনার মুখে অনেকটা স্থিমিত হয়ে যায় মাদকবিরোধী অভিযান। তবে এখনও দেশব্যাপী অব্যাহত আছে এই অভিযান।
বাংলাদেশ সময়: ১৫:৪৬:২৮ ২৭৩ বার পঠিত