আওয়ামী লীগের ৬৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর বাণী

প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারী » আওয়ামী লীগের ৬৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর বাণী
শুক্রবার, ২২ জুন ২০১৮



---প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২৩ জুন আওয়ামী লীগের ৬৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে
নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
“বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ৬৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সংগঠনের অগণিত নেতা-
কর্মী, সমর্থক ও শুভানুধ্যায়ীসহ দেশবাসীকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাচ্ছি।
এদিনে আমি শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। স্মরণ করছি আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মওলানা
আব্দুল হামিদ খান ভাসানী ও সাধারণ সম্পাদক সামসুল হকসহ সকল নেতৃবৃন্দকে। শ্রদ্ধার
সঙ্গে স্মরণ করছি হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীকে। আমি স্মরণ করছি জাতীয় চার নেতাসহ
আন্দোলন, সাধীনতা সংগ্রাম ও গণতন্ত্রের সংগ্রামে শহিদ আওয়ামী লীগ নেতা-
কর্মীদের - যাঁদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে আওয়ামী লীগ গণমানুষের এক বিশাল সংগঠনে
পরিণত হয়েছে।
বাঙালি জাতির মুক্তি ও অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে ঢাকার কে এম দাস লেনের রোজ
গার্ডেনে ১৯৪৯ সালের ২৩শে জুন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠিত হয়। জেলে বন্দি থাকা
অবস্থায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সংগঠনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।
প্রতিষ্ঠার পর থেকে এ ভূখ- যা কিছু বিশাল অর্জন সবই আওয়ামী লীগের নেতৃত্বেই হয়েছে।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ইতিহাস মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার ইতিহাস। আওয়ামী লীগ
এ দেশের মানুষের আত্মপরিচয়ের সংগ্রামের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। ১৯৫২’র ঐতিহাসিক
ভাষা আন্দোলন, ১৯৫৪’র যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন, ১৯৬২’র আইয়ুবের সামরিক শাসন বিরোধী
আন্দোলন, ১৯৬৪’র দাঙ্গার পর সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠা, ১৯৬৬’র ছয় দফা আন্দোলন,
১৯৬৯’র গণঅভ্যুত্থানসহ সকল আন্দোলন-সংগ্রাম পরিচালিত হয়েছে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ দেশের মাটি ও মানুষের দল। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগই অর্জন
করেছে মহান সাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধসহ সকল গণতান্ত্রিক এবং মানুষের ভাত ও ভোটের
অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে নেতৃত্বদানের সুমহান গৌরব । ১৯৭০’র নির্বাচনে বাঙালি
জাতি আওয়ামী লীগের পক্ষে নিরঙ্কুশ রায় দেয়। যার ধারাবাহিকতায় ১৯৭১’র ৭ই মার্চ ঢাকার
তৎকালীন রেসকোর্স ময়দানে জাতির পিতা ঘোষণা করেন, ‘‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির
সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম সাধীনতার সংগ্রাম’’।
১৯৭১ সালের ২৫শে মার্চের কালরাতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী নিরস্ত্র বাঙালির উপর
ঝাঁপিয়ে পড়ে। শুরু করে ইতিহাসের নির্মমতম গণহত্যা। গ্রেফতার করা হয় বঙ্গবন্ধু শেখ
মুজিবকে। গ্রেফতারের পূর্বে ২৬ শে মার্চের প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধু তৎকালীন ইপিআর-এর
ওয়ারলেসের মাধামে আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশের সাধীনতার ঘোষণা দেন।
১৯৭১ সালের ১০ই এপ্রিল জনগণের ভোটে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের সমন¦য়ে
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের প্রথম সরকার গঠিত হয়। ১৭ই এপ্রিল মেহেরপুরের মুজিবনগরে এই
সরকার শপথ গ্রহণ করে। আওয়ামী লীগ সরকারের নেতৃত্বে পরিচালিত সফল মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে
বাঙালি জাতি ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর চূড়ান্ত বিজয় অর্জন করে। প্রতিষ্ঠিত হয় বাঙালির
হাজার বছরের লালিত ফসল-সাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশ।
সদ্য সাধীন, যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশকে যখন জাতির পিতা তাঁর স¦প্নের সোনার
বাংলায় রূপান্তরের সংগ্রামে নিরন্তর পরিশ্রম করে যাচ্ছেন, তখনই ঘাতকেরা ১৯৭৫ সালের ১৫ই
আগস্ট কালরাতে তাঁকে সপরিবারে হত্যা করে। আওয়ামী লীগকে নেতৃত্বশূন্য করতে ৩রা নভেম্বর
কারাগারে হত্যা করা হয় জাতীয় চার নেতাকে। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক চক্রান্ত এবং
সাধীনতাবিরোধী চক্র ও অবৈধ সেনাশাসকদের নির্যাতন আর নিপীড়নের মাধ্যমে ধ্বংস করার

চেষ্টা করা হয় জনগণের সংগঠন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে। কিন্তু কোন অপচেষ্টা কখনই সফল
হয়নি। আওয়ামী লীগের তৃণমূল নেতা-কর্মী, সমর্থকেরা জীবন দিয়ে সকল প্রতিকূলতা, ষড়যন্ত্র
মোকাবিলা করে দলকে টিকিয়ে রেখেছে, শক্তিশালী করেছে।
গণতন্ত্র ও ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠায় দীর্ঘ আন্দোলন-সংগ্রামের পর ১৯৯৬ সালে
জনগণের ভোটে আবারও রাষ্ট্র্রক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। ১৯৯৬ থেকে ২০০১
সাল পর্যন্ত আওয়ামী লীগ অত্যন্ত সফলভাবে রাষ্ট্র্র পরিচালনা করে। উন্নয়ন ও অগ্রগতির পথে ঘুরে
দাঁড়ায় বাংলাদেশ। আওয়ামী লীগ সরকারই খাদ্য ঘাটতির দেশ বাংলাদেশকে খাদ্য উদ্বৃত্তের দেশে
পরিণত করে। আওয়ামী লীগ সরকারের আন্তরিক উদ্যোগ ও প্রচেষ্টায় মহান ২১শে ফেব্রুয়ারি
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের মর্যাদা পায়। ভারতের সঙ্গে গঙ্গার পানি চুক্তি সাক্ষরিত হয়।
কারও মধ্যস্থতা ছাড়াই সাক্ষরিত হয় পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তি। আওয়ামী লীগের এই পাঁচ
বছরের শাসনামল ছিল জাতীয় ইতিহাসের এক গৌরবোজ্জাল সময়।

চলমান পাতা-২
পাতা-২
বিএনপি-জামাত জোট সরকারের অপশাসন, দমন-পীড়নের বিরুদ্ধে আন্দোলন এবং
অগণতান্ত্রিক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সকল ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ২০০৮
সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জনগণের ভোটে পুনরায় বিজয় অর্জন করে।
আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকার গত সাড়ে ৯ বছরে দেশের কৃষি, সাস্থ্য,
যোগাযোগ, তথ্য-প্রযুক্তি, অবকাঠামো, বিদ্যুৎ, গ্রামীণ অর্থনীতির উন্নয়ন, কূটনৈতিক
সাফল্য ও সহযোগিতা বৃদ্ধিসহ প্রতিটি খাতে নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ব্যাপক
উন্নয়ন সাধন করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত
হয়েছে। অর্থনৈতিক অগ্রগতির সূচকে বিশ্বের শীর্ষ ৫টি দেশের একটি বাংলাদেশ।
বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা অর্জন করেছে।
বাংলাদেশ এখন বিশ্বে উন্নয়নের ‘রোল মডেল’। চলতি অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধি
অর্জিত হয়েছে ৭ দশমিক ৬৫ শতাংশ। দারিদ্র্যের হার কমে এখন ২২ শতাংশ। মানুষের আয় ও
ক্রয়ক্ষমতা বেড়েছে। আমাদের মাথাপিছু আয় ১ হাজার ৭৫২ মার্কিন ডলার। রিজার্ভ ৩৩ বিলিয়ন
ডলার ছাড়িয়েছে। দেড় কোটি মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে। ৫ কোটির বেশি মানুষ
আয়ের স্তর থেকে মধ্যম আয়ের স্তরে উন্নীত হয়েছে। খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়ে দেশ খাদ্যে
সায়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে। মাধ্যমিক পর্যায় পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিনামূল্যে
পাঠ্যপুস্তক বিতরণ করা হচ্ছে। সাক্ষরতার হার ৭২ দশমিক ৩ শতাংশ উন্নীত হয়েছে। ৬৭ লাখ মানুষ
সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতায় বিভিন্ন ধরনের ভাতা পাচ্ছেন। দেশের ৯০ ভাগ মানুষ
বিদ্যুৎ সুবিধা পাচ্ছেন। সাস্থ্যসেবা মানুষের দোরগোড়ায়। মানুষ বিনামূল্যে ৩০ ধরনের ঔষধ
পাচ্ছেন। মানুষের গড় আয়ু বেড়ে হয়েছে ৭২ বছর। সারাদেশে সড়ক, মহাসড়ক, সেতু, ফ্লাইওভার,
পাতাল সড়ক, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, রেল, নৌ ও যোগাযোগসহ অবকাঠামোগত উন্নয়নে
ব্যাপক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। মেট্রোরেল নির্মাণের কাজ চলছে। আমরা নিজস¦
অর্থায়নে পদ্মাসেতু নির্মাণ করছি। ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা সম্ভব হয়েছে। সম্প্রতি
বিশ্বের ৫৭তম দেশ হিসেবে ‘বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১’ উৎক্ষেপণ করে মহাকাশ বিজয় করেছে
বাংলাদেশ। ফলে এক অনন্য উচ্চতায় আজ বাংলাদেশ।
আমরা আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করে জাতির পিতার হত্যাকারীদের বিচার সম্পন্ন করেছি।
ওয়াদা অনুযায়ী যুদ্ধাপরাধীদের বিচার কার্য পরিচালনা করছি। বিচারের রায় কার্যকর করা হচ্ছে।
আমরা ভারতের সঙ্গে স্থলসীমানা সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধান করেছি। মিয়ানমার ও ভারতের সঙ্গে
সমুদ্রসীমারও শান্তিপূর্ণ সমাধান করেছি। আন্তর্জাতিক বিভিন্ন ফোরামে এবং
বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশ প্রশংসনীয় ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে।
আওয়ামী লীগ সরকারের নেতৃত্বে উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির মহাসড়ক ধরে এগিয়ে যাওয়া
বাংলাদেশ আজ আত্মপ্রত্যয়ী, বিশ্বে উন্নয়ন বিস্ময়। জলে-স্থলে-অন্তরীক্ষে সর্বত্রই বাংলাদেশ
গর্বিত অবস্থান প্রতিষ্ঠায় সক্ষম হয়েছে। রূপকল্প-২০২১ বাস্তবায়নের মাধ্যমে আমরা বাংলাদেশকে

একটি মধ্যম আয়ের দেশ এবং রূপকল্প-২০৪১ বাস্তবায়নের মাধ্যমে বাংলাদেশকে একটি উন্নত-
সমৃদ্ধ দেশে পরিণত করতে বদ্ধপরিকর। উন্নয়নের এই ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে আমি দলমত
নির্বিশেষে সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে আসার আহ্বান জানাচ্ছি।
আমাদের নিরলস প্রচেষ্টায় দেশ যখন উন্নয়নের সোপানে এগিয়ে যাচ্ছে তখন
মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত শক্তির দোসররা অস্থিতিশীলতা ও নৈরাজ্য সৃষ্টির অপচেষ্টায় লিপ্ত। আমরা
সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিতে বিশ্বাস করি। কোন অশুভ শক্তি এদেশে বিস্তার লাভ করতে পারবে না।
দেশে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে আমরা সফলকাম হয়েছি। সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও মাদকের স্থান
বাংলাদেশে হবে না। আমরা মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ী জাতি। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সরকার উন্নয়ন-
গণতন্ত্র ও দেশবিরোধী সকল অপশক্তির মূলোৎপাটন করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। আমি বিশ্বাস করি,
এদেশের শান্তিপ্রিয় জনগণ অতীতের মতো সকল অপশক্তিকে পরাজিত করে বাংলাদেশকে মুক্তিযুদ্ধের
চেতনায় প্রতিষ্ঠিত করবে।
বাঙালি জাতির প্রতিটি মহৎ, শুভ ও কল্যাণকর অর্জনে আওয়ামী লীগের ভূমিকা রয়েছে।
ইনশাআল্লাহ, ভবিষ্যতেও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ জনগণকে সঙ্গে নিয়ে জাতির পিতার স¦প্নের
ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত, সুখী-সমৃদ্ধ, উন্নত ও আধুনিক সোনার বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করবে।
জয় বাংলা, জয়
বঙ্গবন্ধু

বাংলাদেশ চিরজীবী

হোক।”

বাংলাদেশ সময়: ২২:৪৩:৫৩   ৫৪৪ বার পঠিত  




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

ছবি গ্যালারী’র আরও খবর


সিলেটের সঙ্গে সারাদেশের রেল যোগাযোগ বন্ধ
আজকের রাশিফল
আল কোরআন ও আল হাদিস
গুজব উপেক্ষা করে জনগণ ভ্যাকসিন নিচ্ছে
অর্পিত সম্পত্তি বিষয়ক চিহ্নিত সমস্যাগুলো যথাযথ সংশোধন করা হবে - ভূমি সচিব
৬টি সেক্টরকে শিশুশ্রমমুক্ত ঘোষণা করলো সরকার
ফসল উৎপাদন বাড়াতে অঞ্চল ভিত্তিক ‘জোন ম্যাপ’ প্রণয়নের ওপর গুরুত্বারোপ প্রধানমন্ত্রীর
দেশের সিটি কর্পোরেশন ও পৌরসভাগুলোতে জনস্বাস্থ্য নিয়ে কাজ করতে চায় যুক্তরাষ্ট্র - এলজিআরডি মন্ত্রী
হঠাৎ অজানা কারণেই বেড়ে গেলো পেঁয়াজের দাম
স্পীকারের সাথে বাংলাদেশে নিযুক্ত সুইডেনের রাষ্ট্রদূত অ্যালেজান্ড্রা বের্গ ভন লিনডে-র সৌজন্য সাক্ষাৎ

আর্কাইভ