পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তাফা কামাল বলেছেন, চলমান উন্নয়নকে অব্যাহত রাখতে সরকার ২০১৮-১৯ অর্থবছরের জন্য সর্বোচ্চ জনকল্যাণমুখী বাজেট প্রণয়ন করেছে। এ বাজেট প্রবৃদ্ধিমুখি, দারিদ্র বিমোচন ও কর্মসংস্থানমুখি।
রবিবার রাজধানীর লেকশোর হোটেলে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) আয়োজিত বাজেট সংলাপ ২০১৮ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
সিপিডির চেয়ারম্যান অধ্যাপক রেহমান সোবহানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অর্থ ও পরিকল্পনামন্ত্রী প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান, বিএনপি নেতা আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, মেট্রোপলিটনচেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এমসিসিআই) সভাপতি নিহাদ কবির, সিপিডির বিশেষ ফেলো ড. মুস্তাফিজুর রহমান প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন।
এবারের বাজেটে দীর্ঘ মেয়াদি ভিশন রয়েছে উল্লেখ করে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, বাজেটেরে লক্ষ্য হলো ২০২১ সালে দেশকে মধ্যম আয়,২০৩০ সালে টেকসই উন্নয়ন অভিষ্ট অর্জন ও ২০৪০ সালে দেশকে উন্নত বিশ্বের কাতারে নিয়ে যাওয়া। সে লক্ষেই সরকার পদ্মা সেতুসহ বড় বড় প্রকল্প বাস্তবায়ন; মাতারবাড়ি, রামপাল বিদ্যুৎ প্রকল্প ও রুপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প; ১০০ অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা এবং তথ্য প্রযুক্তি উন্নয়নে নানামুখি কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে।
ব্যাংকিং খাতের অনিয়মের বিষয়ে তিনি বলেন, দোষী কাউকে ছাড় দেওয়া হচ্ছেনা। ফারর্মাস ব্যাংকসহ বিভিন্ন ব্যাংকের দোষী কর্মকর্তাদের অনিয়মের দায়ে জেলে ঢোকানো হয়েছে। কমিশন গঠন করে যারা ভাল তাদের সম্মানিত করা হবে। আর যারা খারাপ তাদের শাস্তির আওতায় আনা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯:১৯:৪১ ২৬৭ বার পঠিত