গত মাসে বাংলাদেশে মাদকবিরোধী অভিযান শুরু হয়। অভিযান শুরুর পর প্রতি রাতেই ‘বন্দুকযুদ্ধে’ কয়েকজন করে মারা গেছেন। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বলছে, এদের মধ্যে কেউ পুলিশের সঙ্গে, কেউ র্যাবের সঙ্গে, কেউ আবার নিজেদের মধ্যে গোলাগুলিতে নিহত হয়েছেন।
তবে টেকনাফে কথিত বন্দুকযুদ্ধে পৌর কাউন্সিলর একরামুল হক নিহত হওয়ার পর একটি অডিও ঘিরে বদলে যায় প্রেক্ষাপট। কমে আসে বন্দুকযুদ্ধের সংখ্যা; যদিও আজও চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার চৌকা এলাকায় পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে একজন নিহত হয়েছেন।
এসব বন্দুকযুদ্ধের বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জমান খান কামাল বলছেন, যেখানে অবৈধ ব্যবসা, সেখানে অবৈধ টাকা, সেখানেই অবৈধ অস্ত্র। তাই এ ক্ষেত্রে জীবন বাঁচাতে গোলাগুলি হওয়াটা স্বাভাবিক। তবে কাউকে হত্যা করা আমাদের উদ্দেশ্য নয়। আমরা কাউকে হত্যা করছি না। যাদের বিরুদ্ধে মাদক ব্যবসার অভিযোগ রয়েছে তাদের গ্রেফতার করে বিচারের মুখোমুখি করা হচ্ছে। যতদিন মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণে না আসবে ততদিন এ অভিযান চলবে।
মাদকের অপব্যবহার ও অবৈধ পাচারবিরোধী আন্তর্জাতিক দিবস উপলক্ষে আজ সোমবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি এসব কথা বলেন।
অভিযান চলাকাল এ পর্যন্ত কতজন বন্দুকযুদ্ধ বা ক্রসফায়ারে মারা গেছে- সাংবাদিকরা জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, এই মুহূর্তে সংখ্যাটি বলতে পারছি না। তবে অভিযান শুরু থেকে এ পর্যন্ত মোবাইল কোর্ট ও আদালতের মাধ্যমে মাদক সংশ্লিষ্টদের বিচারের মুখোমুখি করে ২২ হাজার জনকে কারাগারে বন্দী করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, অভিযান শুরুর পর জড়িতদের অনেকে অবস্থান ত্যাগ করেছে বা সরে পরেছে। তবে যাই করুক। আমরা তাদেরকে ধরবো।
বাংলাদেশ সময়: ১৬:২০:২০ ২০৮ বার পঠিত