মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী নারায়ন চন্দ্র চন্দ বলেছেন, বাংলাদেশে শীঘ্রই
বিশ্বখ্যাত ভেনামি সাদা চিংড়ি চাষের সম্ভাব্যতা যাচাই করে বাগদা চিংড়ির
পাশাপাশি এর পরীক্ষামূলক চাষের ব্যবস্থা করা হবে যাতে চিংড়ি চাষে অন্যান্য দেশের
সাথে প্রতিযোগিতা করা সম্ভব হয়। মন্ত্রী খাদ্যে স্বয়ম্ভরতার্জনের পর মাছ ও
মাংসেও স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের উল্লেখ করে বলেন, খাদ্যে স্বয়ম্ভরতা বলতে
আমরা চাল বা ভাতকে বুঝালেও আসলে মাছ, মাংস, দুধ, ডিম, শাক সবজিও খাদ্যের
অংশ। তাই রপ্তানিযোগ্য চিংড়িতেও আমাদের অগ্রগতি অর্জন করা জরুরি।
আমরা ইতিমধ্যে দুধে স্বয়ংসম্পূর্ণতার কাছাকাছি এগিয়েছি, ডিমেও
আমাদের স্বয়ম্ভর হতে হবে।
আজ রাজধানীর একটি হোটেলে বিএফএফইএ ও বিপিসির যৌথ উদ্যোগে
‘হিমায়িত চিংড়ি চাষ বৃদ্ধি এবং আনুষঙ্গিক প্রতিবন্ধকতা দূরীকরণ’
শীর্ষক সেমিনারে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
সেমিনারে বক্তারা রপ্তানিযোগ্য চিংড়ি চাষের বিভিন্ন অব্যবস্থাপনা,
দুর্বলতাসহ নানা কারণে উৎপাদন হ্রাস পাওয়ার তথ্য তুলে ধরে অনতিবিলম্বে
সরকারকে এদিকে নজর দেবার আহ্বান জানান। অন্যথায় চিংড়ি রপ্তানির ক্ষেত্রে ধ্বস
নামতে পারে বলে আশংকা প্রকাশ করেন তাঁরা। বক্তারা বিগত চার বছরের হিমায়িত
চিংড়ি রপ্তানির নিম্নমুখী চিত্র দিয়ে বলেন, ২০১৩-১৪ অর্থ বছরে ৫৫০ মিলিয়ন
ডলারের ৪৭ হাজার ৬৩৫ মেট্রিক টন চিংড়ি রপ্তানি হলেও ২০১৪-১৫, ২০১৫-১৬ ও
২০১৬-১৭ অর্থ বছরে তা কমে দাঁড়ায় যথাক্রমে ৫১০ মিলিয়ন ডলার মূল্যের ৪৪ হাজার
২৭৮ মেট্রিক টন, ৪৭২ মিলিয়ন ডলারের ৪০ হাজার ২৭৬ হাজার মেট্রিক টন ও ৪৪৬
মিলিয়ন ডলার মূল্যের ৩৯ হাজার ৭০৬ মেট্রিক টন।
সেমিনারে চিংড়ি চাষের ওপর দুটি প্রবন্ধ পাঠ করেন মৎস্য অধিদফতরের
সাবেক প্রধান বৈজ্ঞানিক অফিসার চিত্তরঞ্জন বিশ্বাস ও সাবেক উপপরিচালক
প্রফুল্ল কুমার সরকার। দেশি বাগদা চিংড়ির চেয়ে ভেনামি চিংড়ির উৎপাদন খরচ
২০-৩০ শতাংশ কম থাকায় তাঁরা এটিকে ব্যাপকভাবে চাষাবাদের ওপর জোর দেন।
বিএফএফইএ’র সভাপতি আমিল উল্লাহর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ
অতিথি ছিলেন খুলনার মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক ও সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ
রফিক। অন্যান্যের মধ্যে নৌপরিবহন সচিব মোঃ আব্দুস সামাদ, বাণিজ্য
মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মুন্সী সফিউল হক প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ২৩:৫০:০৮ ৩৬১ বার পঠিত