নিউজটুনারায়ণগঞ্জঃ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিচক্ষণ নেতৃত্বে বর্তমান সরকার দেশে ব্যবসা-
বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও শিল্পবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টিতে সক্ষম হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন
শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু। তিনি বলেন, দেশীয় ও আমদানি বিকল্প শিল্পের প্রসারে
নতুন বাজেটে শুল্ক ও কর কাঠামোতে ইতিবাচক পরিবর্তন আনা হয়েছে। এর পাশাপাশি
সরকার ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপন এবং অবকাঠামোগত উন্নয়নে ১০টি
অগ্রাধিকার মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। এর ফলে বিশ্বের অনেক দেশের
খ্যাতনামা উদ্যোক্তারা বাংলাদেশে বিনিয়োগের আগ্রহ প্রকাশ করছে বলে তিনি
জানান।
শিল্পমন্ত্রী আজ ঢাকার ঐতিহ্যবাহী জেবি মার্কেটের ১০তলা বিশিষ্ট নতুন ভবনের
ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন উপলক্ষে আয়োজিত ব্যবসায়ী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব
কথা বলেন। রাজধানীর নবাবপুরে এ অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়।
বিশিষ্ট ব্যবসায়ী সিরাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে
এফবিসিসিআইয়ের পরিচালক খন্দকার মঈনুর রহমান জুয়েল, নবাবপুর দোকান মালিক
সমিতির সাবেক সভাপতি জামাল উদ্দিন রাজা, ওয়ারী থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি
চৌধুরী আশিকুর রহমান লাভলু, সাধারণ সম্পাদক হাজী আবুল হোসেন এবং জেবি
মার্কেট প্রতিষ্ঠাতার কন্যা শিউলী আহমেদ বক্তব্য রাখেন।
আমির হোসেন আমু বলেন, টেকসই শিল্পায়নের লক্ষ্য অর্জনে সরকার হালকা
প্রকৌশল শিল্প প্রসারের ওপর বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে। এ শিল্পের পরিকল্পিত উন্নয়নের জন্য
ইতোমধ্যে কেরানীগঞ্জে পৃথক শিল্পনগরী গড়ে তোলা হচ্ছে। এর পাশাপাশি কেমিক্যাল,
প্লাস্টিক মুদ্রণসহ অন্যান্য শিল্পখাতের জন্য আলাদা শিল্পনগরী স্থাপনের কাজ এগিয়ে
চলছে। দেশের বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা শিল্প কারখানাগুলোকে এসব
পরিকল্পিত শিল্পনগরীতে স্থানান্তর করা হবে। একই সাথে এসব শিল্পনগরীর কারখানাগুলোতে
গ্যাস, বিদ্যুৎ, পানিসহ প্রয়োজনীয় ইউটিলিটি সেবা নিশ্চিত করা হবে। দেশের
হালকা প্রকৌশল শিল্পখাতে গড়ে ওঠা মাঝারি ও বৃহৎ শিল্প কারখানার গুণগত মানোন্নয়ন ও
প্রসারে জেবি মার্কেট অগ্রণী অবদান রাখবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
উল্লেখ্য, প্রায় ১৫ কোটি টাকা ব্যয়ে জেবি মার্কেট নির্মাণ করা হচ্ছে।
১০তলা বিশিষ্ট এ নতুন মার্কেটে
২ শতাধিক হার্ডওয়্যার, ও মেশিনারিজের দোকান থাকবে। এতে উন্নতমানের
হার্ডওয়্যার, মেশিনারিজ ও খুচরা যন্ত্রাংশ বিক্রি হবে। এতে সরাসরি ১ হাজার
লোকের এবং পরোক্ষভাবে আরো ১ হাজার লোকের কর্মসংস্থান হবে। এর ফলে বাংলাদেশে
উৎপাদনমুখী হালকা প্রকৌশল শিল্পখাত বিকশিত হবে। বাংলাদেশের হালকা প্রকৌশল
শিল্পখাতের গুণগত পরিবর্তনে এ মার্কেট ইতিবাচক অবদান রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ২২:৫৪:৪০ ২৬২ বার পঠিত