নিউজটুনারায়ণগঞ্জঃ বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এমপি বলেছেন, তামাকদ্রব্যের কুফল সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সুস্থ্ জাতি গঠনের লক্ষে বাংলাদেশকে ২০৪১ সালের মধ্যে তামাকমুক্ত করার ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি এ অঙ্গীকার বাস্তবায়নে সবাইকে একসাথে কাজ করার আহবান জানান।
তিনি আজ জাতীয় সংসদ ভবনে তাঁর কার্যালয়ে বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোট এর সমন্বয়কারী সাইফুদ্দিন আহমেদ এর নেতৃত্ব ০৬ (ছয়) সদস্য বিশিষ্ট প্রতিনিধিদলের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে এসব কথা বলেন।
সাক্ষাৎকালে তাঁরা বাংলাদেশকে তামাক মুক্ত করার জন্য কর্মপরিকল্পনা নির্ধারণ, তামাক পণ্য ব্যবহারের ক্ষতিকর প্রভাব সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি, সংসদ সদস্যদের তামাক বিরোধী প্রচারনায় সম্পৃক্তকরণ ইত্যাদি বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন।
স্পীকার বলেন, বর্তমান সরকার সবার জন্য স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে অঙ্গীকারাবদ্ধ। জনসাধারণের স্বাস্থ্য ঝুঁকি মোকাবেলায় আন্তরিকতার সাথে কাজ করে যাচ্ছে। এরই অংশ হিসেবে সরকার ইতোমধ্যে জনস্বাস্থ্য উন্নয়নকে অগ্রাধিকার দিয়ে ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন প্রণয়ন করেছে। এছাড়াও এসডিজি এর ০৩(তিন) নম্বর লক্ষ্য অর্জনে ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশন অন টোবাকো কন্ট্রোল (এফসিটিসি) বাস্তবায়নকে একটি টার্গেট হিসেবে নির্ধারণ করেছে।।
স্পীকার বলেন, প্রথাগত তামাকজাত দ্রব্যের পাশাপাশি সম্প্রতি তরুণ প্রজন্মের মধ্যে ই- স্মোকিং এর প্রবনতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে বলে সংবাদ মাধ্যমে এসেছে। গবেষণার মাধ্যমে এর ক্ষতিকর প্রভাব নিরুপণ করে এর বিরুদ্ধে জনমত গড়ে তোলার জন্য তিনি সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহবান জানান।
বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোট এর সমন্বয়কারী সাইফুদ্দিন আহমেদ বলেন, তামাক দ্রব্যের নিয়ন্ত্রণকল্পে আগামী সংসদ নির্বাচনে প্রতিটি দলের নির্বাচনী ইশতেহারে একটি সুনির্দিষ্ট অঙ্গীকার থাকা প্রয়োজন। তামাক বিরোধী ক্যাম্পেইনের অংশ হিসেবে বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোট দীর্ঘদিন ধরে সরকারী ও বেসরকারী পর্যায়ে সভা-সেমিনার আয়োজনের মাধ্যমে জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে কাজ করে যাচ্ছে বলে তিনি স্পীকারকে অবহিত করেন।
স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, সংসদ সদস্যরা নিজ নিজ এলাকায় তাদের বক্তব্যের মাধ্যমে তামাক দ্রব্যের কুফল সম্পর্কে জনসচেতনতা তৃণমূল পর্যায়ে পৌঁছে দিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারেন। তিনি তামাক বিরোধী মোটিভেশন ক্যাম্পেইনে সংসদ সদস্যদের সম্পৃক্তকরণের ওপর গুরুত্বারোপ করেন । সরকার ২০১৮-১৯ অর্থবছরে স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধিকল্পে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অনুকূলে ০৯ (নয়) কোটি টাকা বরাদ্দ রেখেছে- - যা তামাক বিরোধী প্রচারণায় ব্যয় হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
এ সময় প্রতিনিধিদলের সদস্যদের মধ্যে অধ্যাপক রুমানা হক, সৈয়দ মাহবুবুল আলম, তামাক বিরোধী সাংবাদিক এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক নিখিল ভদ্র, সৈয়দা অনন্যা রহমান,মোঃ জালালউদ্দিন এবং সৈয়দ সাইফুল আলম উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯:৫৬:০৭ ৩৭১ বার পঠিত