আজ রবিবার বিকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বসছে বাংলা জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের ৪১ তম আসর। বিকাল সাড়ে তিনটা থেকে অনুষ্ঠান শুরু হবে। বাংলাদেশ তথ্য মন্ত্রণালয় ও বিএফডিসি যৌথভাবে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে বলে তথ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে। আসরে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেবেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এর আগে গত ৪ এপ্রিল তথ্য মন্ত্রণালয় তাদের ওয়েবসাইটে ‘জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ২০১৬’-এর বিজয়ীদের তালিকা গেজেট আকারে প্রকাশ করে। সেই তালিকা থেকে জানা যায়, ২০১৬ সালের জন্য যৌথভাবে সেরা অভিনেত্রী নির্বাচিত হয়েছেন নুসরাত ইমরোজ তিশা ও কুসুম শিকদার। ২০১৬ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘অস্তিত্ব’ছবিতে অনবদ্য অভিনয়ের জন্য তিশা ও ‘শঙ্খচিল’ছবির জন্য কুসম শিকদারকে নির্বাচিত করা হয়েছে। অন্যদিকে ‘আয়নাবাজি’ ছবির জন্য সেরা অভিনেতার পুরস্কার পাচ্ছেন চঞ্চল চৌধুরী।
এদিকে, সেরা নারী কণ্ঠশিল্পী হিসেবে জাতীয় পুরস্কার পাচ্ছেন পরিচালক, অভিনেত্রী ও গায়িকা মেহের আফরোজ শাওন। প্রয়াত কথাসাহিত্যিক হুমায়ুন আহমেদের জনপ্রিয় উপন্যাস ‘কৃষ্ণপক্ষ’অবলম্বনে নির্মিত একই নামের ছবিতে শাওনের গাওয়া ‘চলো না বৃষ্টিতে ভিজি’গানটির জন্য সেরা নারী কণ্ঠশিল্পী নির্বাচিত হয়েছেন তিনি। সেরা গায়কের পুরস্কার হাতে উঠবে ওয়াকিল আহমেদের। ‘দর্পণ বিসর্জন’ ছবিতে তার গাওয়া ‘অমৃত মেঘের বারি’ গানটির জন্য সেরা গায়ক নির্বাচিত হয়েছেন তিনি।
এ বছর আজীবন সম্মাননা পাচ্ছেন বাংলা চলচ্চিত্রের জীবন্ত দুই কিংবদন্তী অভিনয়শিল্পী নায়ক ফারুক ও নায়িকা ববিতা। জাতীয় চলচ্চিত্র বিভাগ নিয়মিত ২৮টি ক্যাটাগরিতে পুরস্কার প্রদান করে থাকে। তবে ২০১৬ সালের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ২৬টি ক্যাটাগরিতে দেয়া হচ্ছে। পুরস্কার পাচ্ছেন মোট ২৯ জন শিল্পী ও কলাকুশলী।
পুরস্কারের জন্য নির্বাচিত অন্য বিজয়ীরা
শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র : ‘অজ্ঞাতনামা’।
শ্রেষ্ঠ স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র : ‘ঘ্রাণ’।
শ্রেষ্ঠ প্রামাণ্য চলচ্চিত্র : ‘জন্মসাথী’।
শ্রেষ্ঠ পরিচালক : অমিতাভ রেজা চৌধুরী, ‘আয়নাবাজি’ ছবির জন্য।
শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেতা : যৌথভাবে আলীরাজ, ‘পুড়ে যায় মন’ ও ফজলুর রহমান বাবু, ‘মেয়েটি এখন কোথায় যাবে’ ছবির জন্য।
শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেত্রী : তানিয়া আহমেদ, ‘কৃষ্ণপক্ষ’ ছবির জন্য।
শ্রেষ্ঠ খল অভিনেতা : শহীদুজ্জামান সেলিম, ‘অজ্ঞাতনামা’ ছবির জন্য।
শ্রেষ্ঠ শিশুশিল্পী : আনুম রহমান খান সাঁঝবাতি, ‘শঙ্খচিল’ ছবির জন্য।
শ্রেষ্ঠ সংগীত পরিচালক : ইমন সাহা, ‘মেয়েটি এখন কোথায় যাবে’ ছবির জন্য।
শ্রেষ্ঠ নৃত্য পরিচালক : হাবিব, ‘নিয়তি’ ছবির জন্য। তবে এই পুরস্কারটি বিতর্কিত।
শ্রেষ্ঠ গীতিকার : গাজী মাজহারুল আনোয়ার, ‘মেয়েটি এখন কোথায় যাবে’ ছবিতে ‘বিধিরে ও বিধি’ গানটির জন্য।
শ্রেষ্ঠ সুরকার : ইমন সাহা, ‘মেয়েটি এখন কোথায় যাবে’ ছবিতে ‘বিধিরে ও বিধি’ গানটির জন্য।
শ্রেষ্ঠ কাহিনিকার : তৌকীর আহমেদ, ‘অজ্ঞাতনামা’ ছবির জন্য।
শ্রেষ্ঠ সংলাপ রচয়িতা : রুবাইয়াত হোসেন, ‘আন্ডার কনস্ট্রাকশন’ ছবির জন্য।
শ্রেষ্ঠ চিত্রনাট্যকার : অনম বিশ্বাস ও গাউসুল আলম, ‘আয়নাবাজি’ ছবির জন্য।
শ্রেষ্ঠ সম্পাদক : ইকবাল আহসানুল কবির, ‘আয়নাবাজি’ ছবির জন্য।
শ্রেষ্ঠ শিল্পনির্দেশক : উত্তম গুহ, ‘শঙ্খচিল’ ছবির জন্য।
শ্রেষ্ঠ চিত্রগ্রাহক : রাশেদ জামান, ‘আয়নাবাজি’ ছবির জন্য।
শ্রেষ্ঠ শব্দগ্রাহক : রিপন নাথ, ‘আয়নাবাজি’ ছবির জন্য।
শ্রেষ্ঠ পোশাক ও সাজসজ্জা : যৌথভাবে সাত্তার, ‘নিয়তি’ ও ফারজানা সান, ‘আয়নাবাজি’ ছবির জন্য।
শ্রেষ্ঠ মেকাপম্যান : মানিক, ‘আন্ডার কনস্ট্রাকশন’ ছবির জন্য।
বাংলাদেশ সময়: ১৪:৪৮:৪৮ ৩৯৬ বার পঠিত