বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এবং মিয়ানমারের বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) সিনিয়র পর্যায়ে সীমান্ত সম্মেলন শুরু হয়েছে। সোমবার সকাল সাড়ে ৯টায় পিলখানার বিজিবি সদর দফতরে এ সম্মেলন শুরু হয়েছে। চারদিন ব্যাপী এ সম্মেলন শেষ হবে আগামী ১২ জুলাই।
সম্মেলনে ইয়াবা পাচার প্রতিরোধ, সীমান্তবর্তী এলাকায় মিয়ানমারের বিজিপি ও সেনাবাহিনী কর্তৃক ফায়ারিংসহ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনা করা হবে।
মিয়ানমারের চিফ অব পুলিশ জেনারেল স্টাফ, পুলিশ ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মায়ো থানের নেতৃত্বে ১১ সদস্যের মিয়ানমার প্রতিনিধিদল এ সীমান্ত সম্মেলনে যোগ দিয়েছেন। এছাড়া মিয়ানমার প্রতিনিধিদলে দেশটির পুলিশ ফোর্সের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা রয়েছেন।
অপরদিকে বিজিবির অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আনিছুর রহমানের নেতৃত্বে ১৫ সদস্যের বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল সম্মেলনে অংশগ্রহণ করছেন। বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলে বিজিবির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ছাড়াও স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ কোস্টগার্ড এবং মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের কর্মকর্তারা রয়েছেন।
বিজিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা মুহম্মদ মোহসিন রেজা স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, এবারের সম্মেলনের আলোচ্য বিষয়ের মধ্যে রয়েছে- অবৈধ মাদকদ্রব্য/নেশাজাতীয় দ্রব্য বিশেষ করে ইয়াবা পাচার প্রতিরোধ, সীমান্তবর্তী এলাকায় মিয়ানমারের বিজিপি ও সেনাবাহিনী কর্তৃক ফায়ারিং, মিয়ানমার নাগরিকদের অবৈধভাবে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ, সীমান্তবর্তী এলাকায় মিয়ানমারের সামরিক হেলিকপ্টার ও ড্রোন চলাচল, শূন্য লাইন হতে মাইন/আইইডি (ইম্প্রোভাইজ্ড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস) অপসারণ, বর্ডার লিয়াজোঁ অফিস স্থাপন, প্রাকৃতিক দুর্যোগের কবলে পড়ে বা অসতকর্তাবশত সীমান্ত অতিক্রমের কারণে আটক/কারাভোগের পর নাগরিকদের স্বদেশে প্রত্যাবর্তন, সীমান্তবর্তী এলাকায় বিভিন্ন উন্নয়নমূলক নির্মাণ কাজ বাস্তবায়ন এবং সীমান্তে নিরাপত্তা রক্ষায় পারস্পরিক সহযোগিতা ও আস্থা বৃদ্ধির বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ। এসব বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হবে।
আগামী ১২ জুলাই সম্মেলনের শেষ দিন দুইদেশের মধ্যে যৌথ আলোচনার দলিল (জয়েন্ট রেকর্ড অব ডিসকাশন্স-জেআরডি) স্বাক্ষরিত হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬:০৬:৩২ ২৫৫ বার পঠিত