নারায়ণগঞ্জে শীতলক্ষ্যা নদীতে ট্রলার থেকে পড়ে নিখোঁজ হওয়া পাঁচ যাত্রীর মধ্যে চারজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল নয়টায় শহরের ফায়ার খেয়াঘাট থেকে দুই জন এবং সেন্ট্রাল খেয়াঘাটের ৫০০ গজ দূর থেকে একজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এছাড়া সকাল সাড়ে ১০টায় একই স্থান থেকে উদ্ধার করা হয়েছেন আরও একজনের মরদেহ।
মৃতরা হলেন মদনগঞ্জ শান্তিনগর এলাকার কালাচাঁন মিয়ার ছেলে দ্বীন ইসলাম (৩৫), মদনগঞ্জের ইসলামপুর এলাকার রমিজ উদ্দিনের ছেলে ইমন (২২), একই এলাকার আনোয়ার হোসেন ফালান (৩৫) এবং ফকির চানের ছেলে জনি। তারা প্রত্যেকে হোসিয়ার কারখানার শ্রমিক।
নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের উপ সহকারী পরিচালক মামুনুর রশিদ জানান, ট্রলার থেকে পড়ে নিখোঁজের ঘটনায় মঙ্গলবার সকাল ছয়টায় ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিসহ আটজনের একটি দল শীতলক্ষ্যা নদীতে তল্লাশি শুরু করে। অভিযান শুরুর দুই ঘণ্টা পর সেন্ট্রাল খেয়াঘাট থেকে ৫০০ গজ দক্ষিণে একটি এবং নিতাইগঞ্জের ফায়ার খেয়াঘাট এলাকা থেকে আরও দুটি মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরে সেগুলো উদ্ধার করে নৌ পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এছাড়া একই স্থান থেকে আরও একজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
উল্লেখ্য, রবিবার রাত সোয়া নয়টার দিকে শহরের সেন্ট্রাল খেয়াঘাট থেকে ৮০ থেকে ১০০ জন যাত্রী নিয়ে একটি ট্রলার মদনগঞ্জ খেয়াঘাটের উদ্দেশ্যে রওনা হয়। ট্রলারটি মোড় ঘুরাতে গিয়ে ঘাটের পাশে আগে থেকে থামিয়ে রাখা আরেকটি লঞ্চের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। এ সময় ট্রলারের উপরের ছাউনি ভেঙে কয়েকজন যাত্রী নদীতে পড়ে যায়। এর মধ্যে কয়েকজন সাঁতার কেটে তীরে উঠতে সক্ষম হলেও পাঁচজন নিখোঁজ থাকেন।
নারায়ণগঞ্জ নৌ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নেওয়াজ উদ্দিন জানান, নিখোঁজের স্বজনরা এসে মরদেহ শনাক্ত করেছে। তাদের কাছে মরদেহ হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে। নিখোঁজ অন্যদের সন্ধানে নৌ পুলিশও অভিযান অব্যাহত রেখেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩:৩৮:১৫ ৩০৮ বার পঠিত