রাজশাহী সিটি করপোরেশনের (রাসিক) আসন্ন নির্বাচন উপলক্ষে উৎসবমুখর পরিবেশে প্রার্থিদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ চলছে।
মঙ্গলবার সকাল নয়টায় জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ে প্রতীক বরাদ্দের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ও সিটি নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার সৈয়দ আমিরুল ইসলাম প্রার্থিদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ করছেন।
নির্বাচনী প্রতীক নিতে সকাল থেকেই নিজেদের কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে নির্বাচন কার্যালয়ে যাচ্ছেন প্রার্থীরা। প্রতীক বরাদ্দ পাওয়ার পর সেই প্রতীক নিয়ে স্লোগান তুলে মিছিল নিয়ে নিজ নিজ এলাকায় ফিরছেন তারা। ফলে নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত হয়ে উঠেছে চারপাশ।
জেলার সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা ও সিটি নির্বাচনের সহকারী রিটার্নিং অফিসার আতিয়ার রহমান জানান, সকাল নয়টায় সংরক্ষিত নারী ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদের প্রার্থিদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ শুরু হয়। এছাড়া বেলা সাড়ে ১১টায় মেয়র এবং দুপুর ১২টা থেকে সাধারণ ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদের প্রার্থিদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ করা হবে।
আতিয়ার রহমান আরও জানান, প্রতীক বরাদ্দের সময় প্রথমে একটি ওয়ার্ডের সব প্রার্থীদের তাদের জন্য নির্বাচন কমিশন থেকে বরাদ্দকৃত প্রতীকগুলো দেখানো হচ্ছে। প্রার্থীরা নিজের পছন্দমতো প্রতীক গ্রহণ করার সুযোগ পাচ্ছেন। তবে একাধিক প্রার্থী একটি প্রতীককেই পছন্দ করলে সেক্ষেত্রে লটারি করা হচ্ছে। সকাল থেকে খুব সুন্দরভাবে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে প্রতীক বরাদ্দ চলছে বলেও জানান তিনি।
গত ১৩ জুন রাজশাহী সিটি নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়। সেদিন থেকেই প্রার্থীদের মাঝে মনোনয়নপত্র বিতরণ শুরু হয়। মনোনয়নপত্র বিতরণ ও জমা নেওয়ার এই কার্যক্রম চলে ২৮ জুন পর্যন্ত। এই সময়ের মধ্যে মেয়র পদে ছয়জন, সাধারণ কাউন্সিলরে ১৬৯ জন এবং নারী কাউন্সিলর পদে ৫২ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করে জমা দেন।
গত ১ ও ২ জুলাই মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই করা হয়। সোমবার মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের সময় শেষ হয়েছে। মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ের সময় বাতিল ও প্রত্যাহারের পর এখন মোট প্রার্থীর সংখ্যা ২১৭ জন। এর মধ্যে মেয়র পদে রয়েছেন পাঁচজন। আর ৩০টি সাধারণ ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে আছেন ১৬০ জন প্রার্থী। এছাড়া এসব ওয়ার্ডে সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদের প্রার্থী ৫২ জন।
এবারই প্রথম দলীয় প্রতীকে মেয়র পদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। তবে সাধারণ স্বতন্ত্র প্রার্থী এবং সাধারণ কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত নারী ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদের নির্বাচন হচ্ছে নির্বাচন কমিশনের বরাদ্দ করা প্রতীকেই। রাজনৈতিক দলের মেয়র প্রার্থীরা আগেভাগেই তাদের প্রতীক সম্পর্কে অবগত থাকায় দু’একদিন আগেই তারা প্রচারপত্র প্রস্তুত করে ফেলেছেন।
মঙ্গলবার সকাল থেকেই শহরে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের নৌকা প্রতীকের ব্যানার, ফেস্টুন সাঁটাতে শুরু করেছেন তার কর্মীরা। তবে বেলা ১১টা পর্যন্ত শহরে অন্য কোনো প্রার্থীর ব্যানার, ফেস্টুন সাঁটাতে দেখা যায়নি।
বাংলাদেশ সময়: ১৪:০৭:১৬ ২৫৩ বার পঠিত