প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৪ জুলাই ঈশ্বরদী হতে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র পর্যন্ত নতুন রেলপথের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন। ওইদিন সকালে ঈশ্বরদীর রূপপুরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দ্বিতীয় পারমাণবিক চুল্লি বসানোর কাজের অর্থাৎ ফাস্ট কংক্রিট পোরিং ডেট বা এফসিডি কাজের উদ্বোধনের পর বিকেল ৩টায় পাবনার পুলিশ লাইন মাঠে অনুষ্ঠিত জনসভাস্থল হতে নতুন এই রেলপথের ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপনের বিষয়টি রেলওয়ের পাকশী বিভাগের ম্যানেজার (ডিআরএম) নাজমুল ইসলাম নিশ্চিত করেছেন।
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের মালামাল পরিবহণের জন্য ঈশ্বরদী হতে পাকশী হয়ে রূপপুর পর্যন্ত নতুন এই রেলপথ নির্মাণ করা হচ্ছে বলে প্রকল্প পরিচালক ড. শৌকত আকবর জানিয়েছেন।
জানা যায়, ঈশ্বরদী বাইপাস স্টেশন হতে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র পর্যন্ত নতুন রেলপথ নির্মাণে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে বাংলাদেশ রেলওয়ে ইতোমধ্যেই চুক্তি সম্পাদন করেছে। ভারতের জিপিটি এবং বাংলাদেশের এসইএল ও সিসিসিএল অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে (জয়েন্ট ভেঞ্চার) ২৯৭ কোটি ৫৫ লাখ টাকায় ঈশ্বরদী বাইপাস টেক অফ পয়েন্ট থেকে রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র পর্যন্ত ২৬ দশমিক ৫২ কিলোমিটার ডুয়েল গেজ রেলপথ নির্মাণ করবে।
চুক্তি অনুযায়ী, জিপিটি-এসইএল-সিসিসিএল জিভি আগামী ১৮ মাসের মধ্যে এই কাজ শেষ করবে বলে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোফাজ্জেল হোসেন জানিয়েছেন। মঙ্গলবার রেলভবনে এক অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ রেলওয়ের পশ্চিম জোনের মহাব্যবস্থাপক মজিবর রহমান এবং ঠিকাদার কোম্পানির পক্ষে সুভাষ চন্দ্র হাওলাদার চুক্তিতে সই করেন।
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের অধীনে এ প্রকল্পের আওতায় ২৬ দশমিক ৫২ কিলোমিটার নতুন রেললাইন হবে। এরমধ্যে ২২ দশমিক ০২ কিলোমিটার হবে মূল লাইন, আর ৪ দশমিক ৫ কিলোমিটার হবে লুপ লাইন। এছাড়া ১৩টি লেভেল ক্রসিং গেইট, একটি ‘বি’ শ্রেণির স্টেশন ভবন, একটি প্লাটফর্ম এবং সাতটি বক্স কালভার্ট নির্মাণ করা হবে। রেলওয়ের মহাপরিচালক আমজাদ হোসেন আশা প্রকাশ করে বলেন, এই রেললাইনের নির্মাণ কাজ শেষ হলে চট্টগ্রাম ও খুলনা বন্দর হতে খুব সহজেই রাশিয়া থেকে বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য আমদানিকৃত মালামাল পরিবহন করা সম্ভব হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪:৫০:৩৯ ৪২৪ বার পঠিত