সিলেট শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক জাফর ইকবাল হত্যাচেষ্টা মামলায় আদালতে অভিযোগপত্র জমা দিয়েছে পুলিশ। এতে প্রধান অভিযুক্ত ফয়জুল হাসানসহ ছয়জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে সিলেট মহানগর হাকিম হরিদাস কুমারের কাছে অভিযোগপত্র জমা দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা জালালাবাদ থানার ওসি শফিকুল ইসলাম।
ফয়জুল হাসান ছাড়াও অন্য অভিযুক্তরা হলেন তার বন্ধু সোহাগ মিয়া, বাবা মাওলানা আতিকুর রহমান, মা মিনারা বেগম, মামা ফজলুল হক ও ভাই এনামুল হাসান। ৩৫৩ পৃষ্ঠার অভিযোগপত্রে ৬০ জনকে সাক্ষী করা হয়েছে।
জালালাবাদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিুকল হক জানান, জাফর ইকবালে উপর হামলার সঙ্গে জড়িত ফয়জুল আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে।
জবানবন্দিতে তিনি জানান, ২০১৬ সালে ফয়জুল তার বন্ধু সোহাগের মাধ্যমে পাওয়া মেমোরী কার্ডে জসিম উদ্দিন রহমানী, তামিম ইল আদরানী এবং অলিপুরী হুজুরের ওয়াজ শুনে জিহাদের ব্যাপারে প্রভাবিত হয়। এছাড়া জসিম উদ্দিন রহমানীর লেখা ‘উন্মুক্ত তরবারী’বই এবং তিতুমীর মিডিয়ার ভিডিও দেখে ফয়জুলের ধারনা হয় জাফর ইকবাল একজন ‘নাস্তিক’। এ ধারনা থেকে ফয়জুল একাই জাফর ইকবালকে হত্যার পরিকল্পনা করে। এবং একাই সে তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে আঘাত করে।
ঘটনার বিভিন্ন স্থির চিত্র, বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় অবস্থিত বিভিন্ন সিসি ক্যামেরার ফুটেজ ও অন্যান্য সাক্ষ্যপ্রমাণ বিশ্লেষণ করে হামলার সাথে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত ছয়জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
ফয়জুল একাই জাফর ইকবালকে হত্যার উদ্দেশ্যে আঘাত করে বলে পুলিশের তদন্তে উঠে এসেছে। তবে এ মামলার সাথে কোনো জঙ্গি সংগঠনের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন ওসি।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের ৩ মার্চ বিকালে সিলেট শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের মুক্তমঞ্চে এক অনুষ্ঠানে জাফর ইকবালের ওপর হামলা চালায় ফয়জুল হাসান।
এ ঘটনায় শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মুহাম্মদ ইশফাকুল হোসেন বাদী হয়ে ওই দিন রাতেই সন্ত্রাসবিরোধী আইনে জালালাবাদ থানায় একটি মামলা করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৪:১৪:৪৬ ৪০৮ বার পঠিত