‘অতিরিক্ত যাত্রী হয়ে লঞ্চে আরোহণ করবেন না, লঞ্চের ছাদে উঠবেন না। মালিকরা
লঞ্চের অতিরিক্ত ভাড়া নেবেন না। ঝুঁকি নিয়ে লঞ্চ চালাবেন না। আবহাওয়া বার্তা মেনে দক্ষ
চালক দিয়ে নৌযান চালাবেন। গরুর গাড়ি পারাপারে প্রাধান্য দেবেন। পর্যাপ্ত ফেরির
ব্যবস্থা রাখবেন। গার্মেন্টসে পর্যায়ক্রমে ছুটির ব্যবস্থা করবেন।’
নৌপরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান আজ ঢাকায় বিআইডব্লিউটিএ ভবনে পবিত্র
ঈদুল আজহা উপলক্ষে লঞ্চ, ফেরিসহ জলযানসমূহ সুষ্ঠুভাবে চলাচল, যাত্রীদের নিরাপত্তা
নিশ্চিতকরণ সংক্রান্ত সভায় সংশ্লিষ্টদের এসব নির্দেশনা দেন।
মন্ত্রী বলেন, ঢাকার সদরঘাটে শৃঙ্খলা রক্ষা ও যাত্রীদের নিরাপত্তা বিধানের জন্য
ট্রাফিক পুলিশের পাশাপাশি আনসারসহ কমিউনিটি পুলিশের ব্যবস্থা এবং সদরঘাট
থেকে বাহাদুরশাহ পার্ক পর্যন্ত রাস্তা হকারমুক্ত রাখা হবে। সদরঘাটে পর্যাপ্ত সংখ্যক
স্টিলের ডাস্টবিন স্থাপন, জনগণকে ডাস্টবিন ব্যতীত নদীতে কিংবা পন্টুন/গ্যাংওয়েতে
ময়লা আবর্জনা ফেলতে নিরুৎসাহিত করা এবং স্বেচ্ছাসেবক নিয়োজিত করে পরিষ্কার
পরিচ্ছন্ন রাখার ব্যবস্থা গ্রহণ নিশ্চিতকরণ, পর্যায়ক্রমে সকল ঘাটে এ ব্যবস্থা চালুকরা
হবে। টার্মিনালসমূহে সতর্কতামূলক বাণী মাইকে ও মনিটরে প্রচারের ব্যবস্থা করা
হবে।
সভায় জানানো হয়, ঘাট ইজারাদার কর্তৃক যাত্রী হয়রানি বন্ধে সংশ্লিষ্ট জেলা
প্রশাসন, জেলা পুলিশ ও বিআইডব্লিউটিএ’র কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ এবং লঞ্চে
যাত্রী ওঠার সময় থেকে লঞ্চের চালক, মাস্টার ও অন্যান্য কর্মচারীদের অবস্থান নিশ্চিত করতে
হবে। লঞ্চের অনুমোদিত ভাড়ার চেয়ে বেশি ভাড়া আদায়ে এবং নদীর মাঝপথে
নৌকাযোগে যাত্রী উঠালে সংশ্লিষ্ট লঞ্চ মালিকদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ
করা হবে। স্পিডবোটে চলাচলের সময় যাত্রীদের লাইফ জ্যাকেট পরিধান নিশ্চিত করতে
হবে। সভায় সিদ্ধান্ত হয় যে, রাতের বেলায় সকল প্রকার মালবাহী জাহাজ, বালুবাহী
বাল্কহেড চলাচল বন্ধ রাখতে হবে।
নৌপথে ডাকাতি, চাঁদাবাজি, শ্রমিক, যাত্রীদের হয়রানি ও ভীতিমূলক অবস্থা
প্রতিরোধ করার জন্য রাতে পুলিশের টহলের ব্যবস্থা এবং নদীতে এলোমেলোভাবে ট্যাংকার,
লঞ্চ, কোস্টার বার্জ ইত্যাদি চলাচল নিয়ন্ত্রণ। কোনক্রমেই লঞ্চের যাত্রী ও মালামাল ওভারলোড
করা যাবে না। প্রত্যেক লঞ্চের সিড়িতে দুই পার্শ্বে প্রশস্ত রেলিংয়ের ব্যবস্থা করতে হবে।
সদরঘাট, নদীর মাঝপথ থেকে নৌকা দিয়ে যাত্রী লঞ্চে/নৌযানে উঠতে না পারে তার জন্য
ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। এজন্য বাংলাদেশ কোস্টগার্ডকে নিয়োজিত করতে হবে।
কেবিনের যাত্রীদের ছবি/মোবাইল নম্বর/জাতীয় পরিচয় পত্র নম্বর সংরক্ষণ করতে হবে।
সভায় অন্যান্যের মধ্যে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ আবদুস সামাদ,
বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান কমডোর এম মোজাম্মেল হক,
বিআইডব্লিউটিসির চেয়ারম্যান মোঃ মফিজুল হক, নৌপরিবহন অধিদফতরের
মহাপরিচালক কমডোর সৈয়দ আরিফুল ইসলাম, ডিআইজি নৌপুলিশ মোঃ মারুফ,
সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার বক্তব্য রাখেন।
বাংলাদেশ সময়: ২১:৩২:০২ ৩০৪ বার পঠিত