গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব থামাতে এবার দলের বিধায়কদের ‘লাস্ট ওয়ার্নিং’ দিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ শুক্রবার বিধানসভায় নদিয়ার বিধায়কদের নিয়ে বৈঠকে বসেন তিনি৷ সেখানে মমতা সাফ জানিয়ে দেন৷ কোনও গোষ্ঠীবাজি চলবে না৷ সব্বাইকে কাজ করতে হবে৷ লোকসভা নির্বাচনে তাঁর ভাল ফল চাই৷
দলের সবাই জানে শান্তিপুর বিধানসভার চেয়ারম্যান অজয় দে ও বিধায়ক অরিন্দম ভট্টাচার্যের মধ্যে সুসম্পর্ক নেই৷ সুযোগ পেলেই এ ওর নামে নালিশ করেন৷ বিধানসভা সূত্রের খবর, “এদিন অজয় দে কে মমতা বলেন অরিন্দম এমএলএ৷ ওকে মেনে চলতে হবে৷ অজয় পুরসভার কাজ ভাল করে করুক৷ আমার কাছে খবর আছে পঞ্চায়েত নির্বাচনে ও দলের বিরুদ্ধে কাজ করেছিল৷”
এদিন ১৬ জন বিধায়ক একে ওপরের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানাতে শুরু করলে মমতা বলেন, “কারোর কোনও অভিযোগ শুনব না৷ লোকসভা নির্বাচনে কৃষ্ণনগর ও রাণাঘাট, দুটো আসনই আমার চাই৷”
এই বৈঠকে কয়েকজনের কাজে সরাসরি অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো৷ মন্ত্রী উজ্বল বিশ্বাসকেও সতর্ক করেন মমতা বলেন, “তোমার ছেলে মারা যাওয়ার পর তুমি সেভাবে কাজ করছ না৷ অনেক দিন তো হল৷ এবার শোক ভুলে কাজ করো৷ সদ্য রাজ্যভার সাংসদ আবীর বিশ্বাসকে দলনেত্রী বলেন, “তোমায় সংগঠনের কাজে মন দিতে হবে না৷ তুমি এমপি৷ এমপির মতো কাজ কর৷”
সূত্রের খবর, বৈঠক চলাকালীন হঠাৎই পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জিজ্ঞাসা করেন ” জেলায় দলের ছাত্র পরিষদের সভাপতি কাকে করছেন?” উত্তরে পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “এখনও কারোর নাম ঠিক করিনি৷” উল্লেখ্য, অয়ন দত্ত খান এখন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতি৷ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই প্রশ্নের পরই দলের অনেকেই মনে করছে এবার অয়নকে পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হতে পারে৷
এদিনের বৈঠকে শংকর সিং ছিলেন না৷ কিন্তু তাঁকে রাণাঘাটের বাড়তি দায়িত্ব দিয়েছেন দলনেত্রী৷ একমাস অন্তর নিজেদের মধ্যে বৈঠক করার জন্য নদিয়ার কয়েকজন বিধায়ককে নিয়ে তিনি একটি কমিটিও গড়ে দিয়েছেন৷
বাংলাদেশ সময়: ২২:০০:৪১ ৪২৮ বার পঠিত