কর্মীদের জন্য সরকারি চাকরির মতোই সব সুযোগ-সুবিধা রেখে ‘কমিউনিটি ক্লিনিক স্বাস্থ্য সহায়তা ট্রাস্ট আইন, ২০১৮’ এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
সোমবার সকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব (সমন্বয় ও সংস্কার) এন এম জিয়াউল আলম সাংবাদিকদের এই তথ্য জানান।
সচিব বলেন, ‘কমিউনিটি ক্লিনিক স্বাস্থ্য সহায়তা ট্রাস্ট আইন, ২০১৮’ এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদনের মন্ত্রিসভায় উপস্থাপিত হয়েছিল। কিন্তু বিস্তারিত আলোচনার পর কিছু সংশোধনী সাপেক্ষে এটি চূড়ান্ত অনুমোদনের সিদ্ধান্ত দেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, কমিউনিটি ক্লিনিক সারাদেশে স্বাস্থ্যসেবায় সহযোগী ভূমিকা পালন করে এসেছে। বর্তমানে সারাদেশে ১৩ হাজার ৮৬১টি কমিউনিটি ক্লিনিক থাকলেও মোট ১৪ হাজার ৮০৯টি কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপনের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। এ ক্লিনিকে এ পর্যন্ত ৬২ কোটি ৫৭ লাখ রোগীকে আমরা সেবা দিতে পেরেছি।
সচিব বলেন, এই ট্রাস্টের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হল, গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর সমন্বিত স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করা, সমন্বিত স্বাস্থ্যসেবার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় সামাজিক সহযোগিতা গ্রহণ। ব্যক্তি অথবা প্রতিষ্ঠান থেকে সম্পদ বা অনুদান গ্রহণ এবং এর সুষ্ঠু ব্যবহার নিশ্চিত করা।
এ আইনে কর্মীদের স্থায়ীকরণ, বেতন-ভাতা বৃদ্ধিকরণ, গ্র্যাচুয়েটি, অবসর ভাতার সুবিধা রাখা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, একটি প্রভিডেন্ট দিয়ে এগুলো নিশ্চিত করা হবে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কমিউনিটি ক্লিনিকের কর্মীরা ট্রাস্টের আওতায় থাকবে। তবে সরকারি সুযোগ-সুবিধার মতো সবই এখানে থাকছে।
তিনি আরও বলেন, ট্রাস্টে সরকারি থোক বরাদ্দ থাকবে। এছাড়া যে কেউ চাইলে অনুদান দিতে পারবে। ট্রাস্ট্রের একটা উপদেষ্টা পরিষদ হবে। সেখানে প্রধানমন্ত্রী সভাপতি থাকবেন। এছাড়া একটি বোর্ড থাকবে। বোর্ডের যিনি প্রধান হবেন, তিনি কোনো খ্যাতিমান ব্যক্তি এবং বোর্ডের সভাপতি এবং বোর্ড গঠনের বিবরণ আইনে রাখা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬:৪৯:১৩ ৩৩০ বার পঠিত