টার্গেট দিল্লি৷ টার্গেট ৪২-এ ৪২৷ মূলত সেই লক্ষেই সোমবারই দুপুরের বিমানে দিল্লি রওনা হন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ মঙ্গলবার সেখানে কনস্টিটিউশ ক্লাবে বিশপদের একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেন৷ পরে বিকেলে তৃণমূল সুপ্রিমো আইনজীবী রাম জেঠমালানির বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হন৷ পূর্ব পরিকল্পনা মতই সেখানে বিজেপির বিরুদ্ধে ঘুঁটি সাজানোর বৈঠক হয়৷ বৈঠকে যোগ দেন যশবন্ত সিনহা এবং শত্রুঘ্ন সিনহা৷ এরপর রাত ৮টায় শরদ পাওয়ার বাড়িতে বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে মমতার৷
আইনজীবী রাম জেঠমালানি সহ বাকি দুজনকেই ১৯-এর ব্রিগেডে আমন্ত্রণ জানান মমতা৷ খবর ছিলই, মূলত বিরোধী রাজনৈতিক নেতা-নেত্রীদের আমন্ত্রণ জানাতেই তাঁর এবারের এই দিল্লি সফরেই৷ এই বৈঠকের পর তা আরও পরিষ্কার হয়ে যায় রাজনৈতিক মহলে৷ কথা রয়েছে, কংগ্রেস সুপ্রিমো সনিয়া গান্ধির সঙ্গে সাক্ষাতেরও৷ যদিও, একুশের মঞ্চ থেকেই তিনি পরিষ্কার করেছিলেন ব্রিগেডে বিরোধী শিবিরের যোগ দেওয়ার বিষয়টি৷ সেদিনই জানা গিয়েছিল সনিয়া গান্ধীকেও আমন্ত্রণ জানানো হবে ব্রিগেডের সভায়৷
কাজেই এবারের মুখ্যমন্ত্রীর এই দিল্লি সফর রাজনৈতিকভাবে যে যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ, তা বলার অপেক্ষা রাখে না৷ রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, বিরোধী জোটকে শক্তিশালী করতেই এবারের এই সফরকে পুরো মাত্রায় কাজে লাগাতে চাইছেন মুখ্যমন্ত্রী৷ সঙ্গে সঙ্গে উন্মুক্ত হচ্ছে ফেডারেল ফ্রন্টের সম্ভাবনার দিকটাও৷
বাংলাদেশ সময়: ২০:০৯:৩৭ ৩৫৩ বার পঠিত