অনুপ্রবেশ নিয়ে অবস্থান বদল মমতার

প্রথম পাতা » আন্তর্জাতিক » অনুপ্রবেশ নিয়ে অবস্থান বদল মমতার
মঙ্গলবার, ৩১ জুলাই ২০১৮



---ইউপিএ আমলে এক সময় বাংলাদেশ থেকে আসা মানুষদের অনুপ্রবেশের বিরোধিতা করেছিলেন কিন্তু এখন সেই মানুষগুলির প্রতি মানবিক হতে চান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷

অসমে অনুপ্রবেশ জ্বলন্ত সমস্যা৷ প্রতিবেশী বাংলাদেশ থেকে বহু মানুষ সীমান্ত পেরিয়ে বেআইনিভাবে রাজ্যে ঢুকে পড়েছে৷ বিশেষ করে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের পর রাজ্যে যারা বেআইনিভাবে অনুপ্রবেশ করেছে তাদের চিহ্নিত করে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর লক্ষ্যে তৈরি করা হচ্ছে এই নাগরিকপঞ্জি৷ এমনই দাবি করেছে পদ্ম পরিচালিত অসম সরকার। ১৯৫১ সালে প্রথম তৈরি হয় এই নাগরিকপঞ্জী৷ কিন্তু ছ’দশক পর তা পরিমার্জন করা শুরু হয়েছে৷

অসমের নাগরিকপঞ্জীর দ্বিতীয় তালিকা নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক। কেন্দ্র এবং অসম সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অসম সরকার বাঙালি খেদাও অভিযানে নেমেছে বলেও অভিযোগ করেছেন মমতা। প্রথম তালিকার পরে এবার দ্বিতীয় তালিকাতেও বাদ পড়েছে অনেকের নাম। সংখ্যাটা নেহাত কম নয় ৪০ লক্ষ৷ এদের অনেকেই নাকি চার-পাঁচ পুরুষ ধরে অসমে বসবাস করছে বলে দাবি করেছেন তৃণমূল নেত্রী।

নাগরিকপঞ্জী তালিকা থেকে বাদ যাওয়া ব্যক্তিদের যদি বাংলাদেশ সরকার ফেরত না নেয় তাহলে কী হবে? এই প্রশ্ন নিয়েই সরব হয়েছে এখন তৃণমূল। রাজ্যসভাতেও বিষয়টি উত্থাপন করেছে ঘাস ফুলের সাংসদেরা। উল্লেখযোগ্য বিষয় হচ্ছে একসময় এই অনুপ্রবেশ সমস্যা নিয়ে লোকসভায় প্রশ্ন তুলেছিলেন সাংসদ মমতা।

দিনটা ছিল ২০০৫ সালের অগস্ট মাসের চার তারিখ। কেন্দ্রে তখন প্রথম ইউপিএ সরকার রাজত্ব চলছে। মনমোহন সিং পরিচালিত ওই সরকারের উপরে সমর্থন রয়েছে বামেদের। লোকসভায় তৃণমূলের আসন সংখ্যা মাত্র এক আর সেটি হলেন নেত্রী নিজেই৷ প্রথমবারের জন্য লোকসভায় বাঙালি স্পিকার হিসেবে পাওয়া গিয়েছে সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়কে৷ সেই লক্ষ্মীবারের দুপুরে লোকসভায় অনুপ্রবেশ সমস্যা নিয়ে আলোচনা চেয়ে আর্জি জানিয়েছিলেন তৃণমূল সাংসদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

তবে ঠিক ওই সময় লোকসভায় উপস্থিত ছিলেন না স্পিকার সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়। ডেপুটি স্পিকার চরণজিত সিং অটওয়াল খারিজ করে দিয়েছিলেন তৃণমূল সাংসদের প্রস্তাব। ওই ঘটনায় ক্ষুব্ধ মমতা একগুচ্ছ নথি সম্বলিত কাগজ ডেপুটি স্পিকারকে উদ্দেশ্য করে ছুঁড়ে দিয়েছিলেন। শুধু তাই নয়, আইনসভায় তাঁকে কথা বলতে না দেওয়ার অভিযোগ তুলে পদত্যাগ পত্রও জমা দিয়েছিলেন। মমতার দাবি ছিল, বাংলাদেশ সীমান্তে অনুপ্রবেশ পশ্চিমবঙ্গের অন্যতম একটা বড় সমস্যা। এই অনুপ্রবেশকারীরাই সিপিএম তথা বামেদের ভোটব্যাংক৷

যদিও শেষমেশ তৃণমূল সাংসদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেননি স্পিকার সোমনাথবাবু। তবে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছিল দেশ জুড়ে। গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলেও লোকসভার মধ্যে ওই ধরনের আচরণের জন্য সমালোচিত হতে হয়েছিল মমতাকে।

সেই ঘটনার পড়ে পেরিয়ে গিয়েছে এক যুগ। কেন্দ্রে একাধিক বার সরকার বদল হয়ে গিয়েছে। বাংলায় ঘটে গিয়েছে ঐতিহাসিক পালাবদল, শুরু হয়েছে পরিবর্তনের সরকার যদিও সেই সরকার সাত বছর পেরিয়ে এল। এখন ফের অনুপ্রবেশ সমস্যা নিয়ে মুখ খুলছেন না মমতা। তবে উল্টো কথা এবার, তিনি এখন অনুপ্রবেশকারীদের তাড়িয়ে দেওয়ার বিরোধী মানবিকতার কারণে৷

বাংলাদেশ সময়: ২০:১৪:১৪   ২৯৩ বার পঠিত  




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আন্তর্জাতিক’র আরও খবর


কানাডায় এলোপাথাড়ি গোলাগুলি, চার বাংলাদেশি আহত
মিয়ানমারের সামরিক অভ্যুত্থান ব্যর্থ করতে চায় জাতিসংঘ - গুতেরেস
ব্রাজিলে করোনায় ২ লাখ ২৭ হাজার ৫৬৩ জনের মৃত্যু
করোনায় বিশ্বে মৃত্যুর সংখ্যা ২২ লাখ ৭৬ হাজার ছাড়াল
ঘরের মাঠে টানা দ্বিতীয় হার লিভারপুলের
ফেসবুক বন্ধ করল মিয়ানমারে সামরিক জান্তা
করোনার বিরুদ্ধে ৯২ শতাংশ কার্যকর স্পুটনিক ভি
করোনার ছোবলে থামছে না প্রাণহানি, মৃত্যুর সংখ্যা ২২ লাখ ৪৭ হাজার
মিয়ানমার ইস্যুতে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠক আজ
তুর্কি নিয়ন্ত্রিত উত্তর সিরিয়ায় গাড়ি বোমা বিস্ফোরণে ১২ জন নিহত

আর্কাইভ