নিউজটুনারায়ণগঞ্জঃ সরকারি কর্মচারীদের জন্য ব্যাংকিং ব্যবস্থার মাধ্যমে গৃহ নির্মাণ ঋণ
প্রদান সংক্রান্ত নীতিমালা জারি করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়।
আজ অর্থ বিভাগ এ সংক্রান্ত একটি পরিপত্র জারি করেছে।
পরিপত্র অনুযায়ী দেশের যে কোনো এলাকায় গৃহ নির্মাণ, জমিসহ তৈরি
বাড়ি ক্রয় বা ফ্লাট ক্রয়ে সরকারি কর্মচারীরা ঋণ পাবেন। জাতীয় বেতন স্কেলের
গ্রেডভেদে ২০ লাখ টাকা থেকে ৭৫ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ নেয়া যাবে। ঋণের মোট
সুদ হার সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ। তবে এ ১০ শতাংশ সুদের ৫ শতাংশ সরকার এবং
বাকি ৫ শতাংশ ঋণগ্রহীতা পরিশোধ করবে। ঋণ পরিশোধের মেয়াদকাল হবে
সর্বোচ্চ ২০ বছর।
ঋণ প্রাপ্তির যোগ্যতা হিসেবে গৃহ নির্মাণ বা ফø্যাট ক্রয়ে ঋণের জন্য
আবেদনকারী সরকারি কর্মচারীর চাকুরি স্থায়ী হতে হবে এবং সর্বোচ্চ
বয়সসীমা হবে ৫৬ বছর। কোন সরকারি কর্মচারীর বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা রজু
এবং দুর্নীতি মামলার ক্ষেত্রে চার্জশীট দাখিল হলে মামলার চূড়ান্ত নিষ্পত্তি না
হওয়া পর্যন্ত এ নীতিমালার আওতায় ঋণ গ্রহণের জন্য যোগ্য বলে বিবেচিত হবেন
না। সরকারি চাকুরিতে চুক্তিভিত্তিক, খ-কালীন ও অস্থায়ী ভিত্তিতে নিযুক্ত কোন
কর্মচারী এই নীতিমালার আওতায় ঋণ পাওয়ার যোগ্য হবেন না।
ঢাকা মহানগরী, সকল সিটি কর্পোরেশন ও বিভাগীয় সদরের জন্য, জেলা
সদরের জন্য এবং অন্যান্য এলাকার জন্য ঋণের সর্বোচ্চ সীমা ৫ম ও তদূর্ধ্ব
গ্রেডের কর্মচারীদের জন্য যথাক্রমে ৭৫ লাখ টাকা, ৬০ লাখ টাকা ও ৫০ লাখ টাকা,
৯ম থেকে ষষ্ঠ গ্রেডের জন্য যথাক্রমে ৬৫ লাখ টাকা, ৫৫ লাখ টাকা ও ৪৫ লাখ টাকা,
১৩তম থেকে ১০ম গ্রেডের জন্য ৫৫ লাখ টাকা, ৪০ লাখ টাকা ও ৩০ লাখ টাকা,
১৭তম থেকে ১৪তম গ্রেডের জন্য ৪০ লাখ টাকা, ৩০ লাখ টাকা ও ২৫ লাখ টাকা,
২০তম থেকে ১৮তম গ্রেডের জন্য যথাক্রমে ৩৫ লাখ টাকা, ২৫ লাখ টাকা ও ২০ লাখ
টাকা নির্ধারণ করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ২১:৫৪:৪৭ ৯৮৮ বার পঠিত