বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিবের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর বাণী

প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারী » বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিবের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর বাণী
মঙ্গলবার, ৭ আগস্ট ২০১৮



---নিউজটুনারায়ণগঞ্জঃ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৮ আগস্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা
মুজিব এর জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
“সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর
রহমানের সহধর্মিণী বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব-এর ৮৮তম
জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আমি তাঁর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাচ্ছি।
মহীয়সী নারী শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব ছিলেন বাঙালি জাতির
অধিকার আদায়ের সংগ্রামে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের
একজন যোগ্য ও বিশ্বস্ত সহচর। দেশের স্বাধীনতার জন্য তিনি জাতির পিতার
সঙ্গে একই স্বপ্ন দেখতেন। এ দেশের মানুষ সুন্দর জীবনের অধিকারী হোক,
ভালোভাবে বাঁচে থাকুক- এ প্রত্যাশা নিয়েই তিনি বাঙালির আন্দোলন-
সংগ্রামে সবসময় তৎপর ছিলেন।
একটি স্বাধীন দেশের প্রতিষ্ঠাতা, প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতির সহধর্মিনী
হওয়া সত্ত্বেও তিনি ছিলেন সাধারণ জীবনযাপনে অভ্যস্ত। তাইতো একজন
সাধারণ বাঙালি নারীর মতো স্বামী-সংসার, আত্মীয়-স্বজনের প্রতি
দায়িত্বপালন করেও বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম, মুক্তিযুদ্ধ এবং স্বাধীনতার
পর দেশ পুনর্গঠনে তিনি অনন্য ভূমিকা পালন করে গেছেন।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের রাজনৈতিক সাফল্যেও বঙ্গমাতা উল্লেখযোগ্য
অবদান রাখেন। জাতির পিতা রাজনৈতিক কারণে প্রায়শঃই কারাগারে বন্দি
থাকতেন। এই দুঃসহ সময়ে তিনি হিমালয়ের মতো অবিচল থেকে একদিকে
স্বামীর কারামুক্তিসহ আওয়ামী লীগ পরিচালনায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন;
অন্যদিকে সংসার, সন্তানদের লালন-পালন, শিক্ষাদান, বঙ্গবন্ধুকে প্রেরণা, শক্তি ও
সাহস যুগিয়ে স্বাধীনতা ও মুক্তির সংগ্রামকে সঠিক লক্ষ্যে নিয়ে যেতে
সাহসী ভূমিকা পালন করেছেন। ছয়-দফা ও এগার-দফার আন্দোলনে তিনি বলিষ্ঠ
ভূমিকা রাখেন। আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি হানাদারবাহিনীর
হাতে গৃহবন্দি থেকে এবং পাকিস্তানে কারাবন্দি স্বামীর জীবন-মৃত্যুর
সন্ধিক্ষণে গভীর অনিশ্চয়তা ও শঙ্কা সত্ত্বেও তিনি সীমাহীন ধৈর্য, সাহস ও
বিচক্ষণতার সঙ্গে পরিস্থিতি মোকাবিলা করেন।
বাংলাদেশের ইতিহাসে তাঁর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। দেশ ও
জাতির জন্য তাঁর অপরিসীম ত্যাগ, সহযোগিতা ও বিচক্ষণতার কারণে জাতি
তাঁকে যথার্থই ‘বঙ্গমাতা’ উপাধিতে ভূষিত করেছে।
১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট জাতির পিতার সঙ্গে তিনিও সপরিবারে ঘাতকদের
হাতে নির্মমভাবে নিহত হন, যা জাতির ইতিহাসে এক কলঙ্কজনক অধ্যায়
হিসেবে চিহ্নিত হয়ে আছে।
বঙ্গমাতা যে আদর্শ ও দৃষ্টান্ত রেখে গেছেন তা যুগে যুগে বাঙালি
নারীদের জন্য অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে। আমি আশা করি, শেখ ফজিলাতুন
নেছা মুজিব-এর জীবনী চর্চার মাধ্যমে নতুন প্রজন্ম দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হবে।

বঙ্গবন্ধুর সংগ্রামী জীবন, বাঙালির স্বাধিকার আন্দোলন, মহান মুক্তিযুদ্ধ ও
স্বাধীনতা সংগ্রামের অনেক অজানা অধ্যায় সম্পর্কে জানতে পারবে।
আমি বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিবের ৮৮তম জন্মবার্ষিকীতে
তাঁর রুহের মাগফেরাত
কামনা করছি।
জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু
বাংলাদেশ চিরজীবী

হোক।”

বাংলাদেশ সময়: ২১:০২:৩১   ৪৬৫ বার পঠিত  




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

ছবি গ্যালারী’র আরও খবর


সিলেটের সঙ্গে সারাদেশের রেল যোগাযোগ বন্ধ
আজকের রাশিফল
আল কোরআন ও আল হাদিস
গুজব উপেক্ষা করে জনগণ ভ্যাকসিন নিচ্ছে
অর্পিত সম্পত্তি বিষয়ক চিহ্নিত সমস্যাগুলো যথাযথ সংশোধন করা হবে - ভূমি সচিব
৬টি সেক্টরকে শিশুশ্রমমুক্ত ঘোষণা করলো সরকার
ফসল উৎপাদন বাড়াতে অঞ্চল ভিত্তিক ‘জোন ম্যাপ’ প্রণয়নের ওপর গুরুত্বারোপ প্রধানমন্ত্রীর
দেশের সিটি কর্পোরেশন ও পৌরসভাগুলোতে জনস্বাস্থ্য নিয়ে কাজ করতে চায় যুক্তরাষ্ট্র - এলজিআরডি মন্ত্রী
হঠাৎ অজানা কারণেই বেড়ে গেলো পেঁয়াজের দাম
স্পীকারের সাথে বাংলাদেশে নিযুক্ত সুইডেনের রাষ্ট্রদূত অ্যালেজান্ড্রা বের্গ ভন লিনডে-র সৌজন্য সাক্ষাৎ

আর্কাইভ