রাজধানীর এলিফ্যান্ট রোডের দুটি বাসায় অভিযান চালিয়ে দুই লাখ সাত হাজার পিস ইয়াবা এবং নগদ ১৬ লাখ টাকা উদ্ধার করেছে র্যাব। এই ঘটনায় ছয়জনকে আটক করা হয়েছে। বুধবার ও বৃহস্পতিবার সকালে র্যাব-২ এই অভিযান চালায়।
আটককৃতরা হলেন- মো. ফয়সাল আহাম্মেদ, মো. মিরাজ উদ্দিন নিশান, মো. তৌফিকুল ইসলাম সানি, শ্রী সঞ্জয় চন্দ্র হাওলাদার, মো. জহির আহাম্মেদ ওরফে মৌলভি জহির এবং মো. মমিনুল আলম মোমিন।
বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানান র্যাবের গণমাধ্যম শাখার পরিচালক মুফতি মাহমুদ খান।
র্যাব কর্মকর্তা বলেন, ‘র্যাবের কাছে তথ্য ছিল কক্সবাজার থেকে বিমানযোগে কয়েকজন যাত্রী এলিফ্যান্ট রোডের বিলাস বহুল দুটি বাসায় বিপুল পরিমাণ ইয়াবা মজুদ করছে। এমন খবরে বুধবার একটি বাসার নিচে অভিযান চালিয়ে চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং তাদের কাছ থেকে ৩৫ হাজার পিস ইয়াবা জব্দ উদ্ধার করা হয়। পরে আটককৃতদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার সকালে একটি বাসায় অভিযান চালিয়ে ৬৭ হাজার পিস ইয়াবা এবং নগদ ছয় লাখ ৬৪ হাজার ১০০ টাকা উদ্ধার করা হয়। পরে তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে আরেকটি বাসায় অভিযান চালিয়ে এক লাখ পাঁচ হাজার ১০০ পিস ইয়াবা ও নগদ ১০ লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়।’
মুফতি মাহমুদ খান জানান, এই চক্রের মূল হোতা জহির আহাম্মেদ ওরফে মৌলভী জহির। তাদের গ্রুপে ২৫/৩০ জনের মতো সদস্য রয়েছে। তিনি এবং তার বড় ছেলে জহিরুল ইসলাম বাবু কয়েক বছর ধরে রাজধানীতে বাসা ভাড়া নিয়ে ইয়াবা ব্যবসা করে আসছিলেন। তার ছেলে বাবু ২৫ এপ্রিল মাদকসহ ধানমন্ডি এলাকা থেকে গ্রেপ্তার হয়েছেন। এছাড়া মৌলভী জহিরের স্ত্রী, কন্যা ও তার জামাতা আব্দুল আমিন টেকনাফে ইয়াবা ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। তাদের সিন্ডিকেটে বিভিন্ন পরিবহনের চালক ও হেলপার ছাড়াও দুটি কুরিয়ার সার্ভিসের কর্মচারী জড়িত রয়েছে বলে তথ্য পাওয়া গেছে।
চক্রটি ফ্যান, ওয়াসিং মেশিন, এসি এসবের ভেতরে ইয়াবা কুরিয়ার সার্ভিসে করে রাজধানীতে আনত। উদ্ধার হওয়া ইয়াবাগুলো গত সপ্তাহে দুটি এসি ও ফ্যানের কার্টুনে করে রাজধানীতে আনা হয়েছে।
র্যাব কর্মকর্তা বলেন, ‘গ্রেপ্তার হওয়া ফয়সাল আহাম্মেদ রাজধানীর একটি বেসরকারি ব্যাংকে সিনিয়র অফিসার পদে কর্মরত রয়েছেন। তিনি দীর্ঘ তিন বছর ধরে ইয়াবা সেবন করে আসছিলেন। পরে তিনি ব্যবসায় জড়িয়ে পড়েন। এছাড়া মিরাজ উদ্দিন নিশান রাজধানীর একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্সের প্রথম বর্ষের ছাত্র। আটক তৌফিকুল ইসলাম সানি ঢাকার একটি কলেজে ম্যানেজমেন্ট প্রথম বর্ষের ছাত্র এবং শ্রী সঞ্জয় চন্দ্র হাওলাদার মাদারীপুরের একটি কলেজে পড়াশোনা করেন। এই তিনজনই পড়াশোনার পাশাপাশি মাদক ব্যবসা করতেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭:০২:০৬ ৩৫৮ বার পঠিত