একের পর এক নারী কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে পড়ছেন জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা। রুবেল হোসেন, নাসির হোসেন, আরাফাত সানি, সাব্বির রহমান, মোহাম্মদ শহীদের পর এবার মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। ২২ বছর বয়সী এ প্রতিভাবান ব্যাটসম্যানের বিরুদ্ধেও উঠলো নারী কেলেঙ্কারির অভিযোগ।
মোসাদ্দেকের বিরুদ্ধে ময়মনসিংহের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ১-নং আমলি আদালতে নারী নির্যাতনের মাললা ঠুকে দিয়েছেন তাঁর স্ত্রী সামিয়া শারমিন।
রবিবার বিকেলে ময়মনসিংহে অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে সদর উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তাকে তদন্ত করে আদালতে প্রতিবেদন দেয়ার নির্দেশ দেন ।
মামলায় মোসাদ্দেকের বিরুদ্ধে ১০ লাখ টাকার যৌতুক ও শারীরিক নির্যাতনের কথা উল্লেখ করেছেন তার স্ত্রী ।
সামিয়ার আইনজীবী রেজাউল করিম খান দুলাল কে জানান, বেলা ১১টার দিকে মামলাটি দাখিল করলেও বিকেলে মামলাটি আমলে নিয়ে আদালত তদন্তের নির্দেশ দেন। মোসাদ্দেক ও তার স্ত্রী সামিরা সম্পর্কে খালাতো ভাই বোন।
২০১২ সালে আপন খালাতো বোন শারমিনকে বিয়ে করেন মোসাদ্দেক। বিয়ের আগে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। পরে অবশ্য বিয়ে হয়েছিল দুই পরিবারের সম্মতিতে।
শারমিনের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, বিয়ের পর সব ঠিকঠাক ছিল। দুজনার মধ্যে বেশ ভালো সম্পর্কই ছিল। কিন্তু ক্রিকেটার খ্যাতি পাওয়ার পর থেকেই পাল্টে যেতে থাকেন মোসাদ্দেক! জড়িয়ে পড়েন মদ, পরনারীতে। নির্যাতন চলতে থাকে স্ত্রীর উপর।
এ নিয়ে মোসাদ্দেকের বিরুদ্ধে বিসিবিতে নালিশও করেছিলেন শারমিন। বিসিবি পরিচারক ও জাতীয় দলের ম্যানেজার খালেদ মাহমুদ সুজন বিষয়টি মীমাংশা করে দিবেন বলে আশ্বাস দিয়েছিলেন। বিসিবিতে নালিশ করার পর ক্ষেপে যান মোসাদ্দেক। ১৫ আগস্ট ডিভোর্স লেটার পাঠিয়ে দেন শারমিনকে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪:০১:১৩ ২৫০ বার পঠিত